নাগপুর হিংসায় জড়িত জেহাদিদেরই সমর্থন করছে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম
সুদীপনারায়ণ ঘোষ
সম্প্রতি নাগপুরে জেহাদিদের দ্বারা ছড়ানো হিংসায় ৩০ জনেরও বেশি হিন্দু আহত হন। কিন্তু অ্যাসোসিয়েট প্রেস (এপি) প্রকাশিত একটি নিবন্ধে বলা হয়েছে যে, অতীতে জেহাদিদের হাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত মন্দিরের উপর তাদের আইনসঙ্গত দাবি জানিয়ে ভারতীয় বিচারব্যবস্থার শরণাপন্ন হওয়া হিন্দুরাই হলো- উগ্রপন্থী। সেই নিবন্ধে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম বলেছে যে, মুসলমানদের হাতে হিন্দু নির্যাতনের ইতিহাস চলচ্চিত্রের মাধ্যমে যারা তুলে ধরে বা যারা জেহাদিদের দ্বারা ধ্বংস হওয়া মন্দির পুনরুদ্ধারে প্রয়াসী হয় বা ধর্মীয় পরিচয়ের কারণে তাদের উপর জেহাদিদের দ্বারা সংঘটিত আক্রমণের বিষয়ে কথা যারা বলে, তারা ‘হিন্দু উগ্রপন্থী’।
যেহেতু এপি একটি ভারত-বিদ্বেষী, পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম, তাই তাদের দ্বারা প্রচারিত প্রতিবেদনটি পিবিএস, সিএনএন, ওয়াশিংটন পোস্ট-সহ আরও অনেকগুলি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-কেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। হিন্দুদের উপর মুসলমানদের আক্রমণের ঘটনায় অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস দ্বারা হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের দোষারোপের বিষয়টি মোটেও আশ্চর্যের নয়। কারণ অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস হলো সেই প্রচারমাধ্যম, যাদের চিত্র সাংবাদিক ২০২৩-এর ৭ অক্টোবর হামাস সন্ত্রাসবাদীদের হাতে ইজরায়েলিদের ভয়াবহ গণহত্যায় হামাস সন্ত্রাসীদের পক্ষ অবলম্বন করেছিল। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের ইসলামি সন্ত্রাস এবং মুসলমান জেহাদি-গ্যাংস্টারদের মানবিক হিসেবে আখ্যায়িত করার অনৈতিক প্রবণতা বর্তমানে সর্বজনবিদিত। ২০২৩ সালে নিহত গ্যাংস্টার আতিক আহমেদের অপরাধমূলক চরিত্র, তার বিরুদ্ধে থাকা অসংখ্য খুনের মামলার বিবরণ চেপে গিয়ে, এই খুনি, অপরাধী, সন্ত্রাসীর রাজনৈতিক জীবনকে বড়ো করে দেখায় অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস।
নাগপুর হিংসার জন্য ‘ছাওয়া’ সিনেমাটিকে দায়ী করেছে স্কাই নিউজ এবং আক্রমণকারীদের ‘আক্রান্ত’ হিসেবে দেখানোর চেষ্টা করেছে। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস দাবি করেছে যে, মহারাষ্ট্রে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার জন্য ‘ছাওয়া’ সিনেমাটিই দায়ী। এই দাবির মাধ্যমে ‘ইসলাম খতরে মে হ্যায়’ জাতীয় মিথ্যা ন্যারেটিভকে তুলে ধরা হয়। ভারতের জনসংখ্যার ১৪ শতাংশ মুসলমান। সংবাদমাধ্যমটির দাবি হলো, ভারতের এই মুসলমানরা মনে করে যে তারা সরকারের মদতপুষ্ট দক্ষিণপন্থী জনতার টার্গেটে পরিণত হয়েছে। এমনকী স্কাই নিউজ হিন্দুদের উপর জেহাদি আক্রমণ ও হিংসার ঘটনাটিও পুরোপুরি চেপে গিয়েছে। অন্যান্য বামপন্থী প্রচারমাধ্যমের মতো স্কাই নিউজও লাভজেহাদকে একটি কন্সপিরেসি থিয়োরি বা ষড়যন্ত্র তত্ত্ব বলে উড়িয়ে দিয়েছে। অথচ বাস্তবতা হলো দেশজুড়ে প্রতি মুহূর্তে এই ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। স্কাই নিউজ দাবি করেছে যে, বিভিন্ন রাজ্যে বিজেপি পরিচালিত সরকার মুসলমানদের বাড়িঘর গুঁড়িয়ে দিচ্ছে। মুসলমানদের উপর নির্বিচারে বুলডোজার অ্যাকশন চলছে বলে প্রচার করেছে স্কাই নিউজ। বাস্তবে, কেবলমাত্র উত্তরপ্রদেশ সরকার দাঙ্গাবাজ, জেহাদিদের অবৈধ সম্পত্তি উচ্ছেদের জন্য বুলডোজার ব্যবহার করে।
ক্রুর ও ভয়ংকর মুঘল শাসক ঔরঙ্গজেবের কবর রয়েছে মহারাষ্ট্রের খুলদাবাদে। সম্প্রতি সেই কবর অপসারণের দাবি জানিয়েছে বিভিন্ন হিন্দু সংগঠন। তাদের এই আহ্বান উসকানিমূলক বলে জানিয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমস্। জেহাদিদের তরফে ছড়ানো হিংসার জন্য হিন্দু সংগঠনগুলিকে দায়ী করেছে এই বিদেশি সংবাদপত্রটি। খালিস্তানি সন্ত্রাসীদের রোমান্টিক (বা রঙিন) ভাবমূর্তি উপস্থাপন, হিন্দুবিরোধী দাঙ্গার পরিকল্পনাকারীদের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ এবং বাংলাদেশে জেহাদিদের দ্বারা হিন্দু গণহত্যাকে ‘রাজনৈতিক সংঘর্ষ’ হিসেবে দেখানোর নজির রয়েছে দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসের। নাগপুরের সাম্প্রতিক জেহাদি হিংসার জন্য তারা হিন্দু সংগঠনগুলিকে দায়ী করেছে।
নিউ ইয়র্ক টাইমস্ (এনওয়াইটি) লিখেছে যে, ‘১৭ শতকের এক মুঘল শাসকের কবর অপসারণের জন্য একটি কট্টরপন্থী হিন্দু গোষ্ঠীর আহ্বানে পশ্চিম ভারতের মহারাষ্ট্রে মুসলমানদের মধ্যে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে সাম্প্রদায়িক হিংসা ছড়িয়েছে এবং কাফু জারি করা হয়েছে।’ এই প্রতিবেদনে নির্লজ্জ সাংবাদিকতার নজির সৃষ্টি করেছে এনওয়াইটি। মুসলমান আক্রমণকারীদের তারা নির্দোষ প্রতিপন্ন করার চেষ্টা করেছে। ভুক্তভোগী ও আক্রান্ত হিন্দুদের এই প্রতিবেদনে তারা খলনায়ক হিসেবে তুলে ধরেছে।
গ্লোবাল লেফট্ ইকোসিস্টেমের অন্তর্গত অন্যান্য পশ্চিমি সংবাদমাধ্যমের মতো মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছে এনওয়াইটি। তারাও সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা উসকে দেওয়ার জন্য ‘ছাওয়া’ সিনেমাটিকেই দায়ী করেছে। এনওয়াইটি-র প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে, হিন্দু সংগঠনের কার্যকর্তারা ঔরঙ্গজেবের কবর অপসারণের দাবি জানানোর ফলেই এই ঝামেলা শুরু হয়। এনওয়াইটি-র প্রতিবেদনে লেখা হয়েছে যে, ‘গত ১৭ মার্চ মহারাষ্ট্রে উদ্যাপিত হয় ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের জন্মবার্ষিকী। তিনি ছিলেন এক বীর হিন্দু রাজা, যিনি ঔরঙ্গজেবের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিলেন। তাঁর জন্মবার্ষিকী উদ্যাপনপর্বই হিংসাত্মক দাঙ্গায় পর্যবসিত হয়।’
বাস্তবে সেদিন হিন্দুদের শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভ প্রদর্শনের সময় কোনো সমস্যা সৃষ্টি হয়নি। গত ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ছাওয়া’ সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পরও কোনো উত্তেজনা ছড়ায়নি। সমস্যাটি মুসলমানদের জেহাদি মানসিকতা থেকে উদ্ভূত। তারা হিন্দুদের ঘৃণা করে এবং হিন্দু নির্যাতনকারীদের মহান ভাবে। নিজেদের তারা দীর্ঘকাল আগে মৃত ইসলামিক আক্রমণকারীদের উত্তরাধিকারী ভাবে। হিন্দুদের ধর্ম, সংস্কৃতি, ঐতিহ্য, গৌরব এবং তাদের অস্তিত্বের প্রতি মুসলমানদের যাবতীয় ঘৃণাভাব থেকেই যাবতীয় সমস্যার সূত্রপাত।
নিউ ইয়র্ক টাইমসের প্রতিবেদনে বাম-জেহাদি ঐতিহাসিক সোহেল হাশমির উদ্ধৃতি দেওয়া হয়েছে। সোহেল হাশমির মতে, ‘ছত্রপতি শম্ভাজী মহারাজ এবং ঔরঙ্গজেবের মধ্যে বিরোধ ধর্মীয় দ্বন্দ্বের কারণে নয়। এটি ছিল দুই সামন্ত প্রভুর মধ্যে লড়াই।’ এই তথাকথিত ইতিহাস-বিশেষজ্ঞের বিকৃত মতামত তাদের সংবাদপত্রে অন্তর্ভুক্ত করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস্। ঐতিহাসিক সত্য উপস্থাপনের পরিবর্তে ঔরঙ্গজেব ও তার জেহাদ মানসিকতাকে মানবিকতার চাদরে ঢাকতে তিনি বেশি আগ্রহী। হিন্দুদের হত্যা, হিন্দু মন্দির ধ্বংস, বলপূর্বক ধর্মান্তরণ, হিন্দু নারীর সম্ভ্রমহানি, হিন্দুদের প্রতি বৈষম্য, হিন্দুদের উপর অকল্পনীয় নৃশংসতার বিষয়গুলি ঔরঙ্গজেবের ফরমানে উল্লেখিত হওয়া সত্ত্বেও পাঠকদের মধ্যে ভ্রান্ত ধারণা তৈরি করছে নিউ ইয়র্ক টাইমস্। তারা প্রচার করছে যে, ঔরঙ্গজেব একজন হিন্দুবিদ্বেষী, উন্মত্ত জেহাদি ছিলেন- হিন্দু জাতীয়তাবাদীদের এই ধারণা ভুল। তাদের মতে, ঔরঙ্গজেবকে নিয়ে এই সময়ের মুসলমানদের আনন্দ উদ্যাপনের বিষয়টি হিন্দুদের সহজভাবে নেওয়া উচিত।
নিউ ইয়র্ক টাইমস্ তাদের পাঠকদের জানাতে চায় না যে, ভারতীয় মুসলমানরা মূলত সেই ঐতিহাসিক ইসলামি শাসকদের মহিমান্বিত করে, যারা ব্যাপকভাবে তাদের মজহবি উগ্রতার প্রতিফলন ঘটিয়েছিলেন। ঔরঙ্গজেবের জীবন ভারতীয় হিন্দুদের বিরুদ্ধে ঘৃণার প্রতিফলন ছাড়া আর কিছুই নয়। নিজেদের ঔরঙ্গজেবের উত্তরাধিকারী ভাবা মুসলমানদের কাছে ঔরঙ্গজেব হলো অনুপ্রেরণার উৎস। ঔরঙ্গজেব ও টিপু সুলতানের মতো হিন্দুবিদ্বেষী, স্বৈরাচারী শাসকদের তারা বীর মনে করে। সময় হয়েছে নিউ ইয়র্ক টাইমসের কাছে জবাব চাওয়ার যে, তারা নিউ ইয়র্ক সিটিতে ওয়ার্ল্ড ট্রেড সেন্টারে ওসামা বিন লাদেনের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকে সমর্থন করবে কিনা? পত্রিকাটির জেহাদি কার্যকলাপ সমর্থনের রেকর্ড দেখে বলা যায় যে, তারা সত্যিই হয়তো নিহত ইসলামি সন্ত্রাসবাদী লাদেনের স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের বিষয়টিকে সমর্থন করবে। এমনকী তা নির্মাণের অর্থ জোগানের প্রতিশ্রুতি তারা দিলেও তাতে অবাক হওয়ার কিছু নেই।
নাগপুর হিংসা : গত ১৭ মার্চ সন্ধ্যায় মহারাষ্ট্রের নাগপুরে যে হিংসা ও অস্থিরতা দেখা দেয়, তা ছিল হিন্দুদের বিরুদ্ধে জেহাদিদের পূর্বপরিকল্পিত আক্রমণ। শম্ভাজীনগরে ঔরঙ্গজেবের কবর অপসারণের দাবিতে এদিন চলছিল হিন্দু সংগঠনগুলির বিক্ষোভ কর্মসূচি। বিক্ষোভকারীরা স্বৈরাচারী মুঘল শাসকের একটি কুশপুত্তলিকা চাদর দিয়ে ঢেকে তাতে আগুন ধরায়। এই বিক্ষোভ চলাকালীন কোরান পোড়ানোর গুজব ছড়ায় জেহাদিরা। জেহাদিদের আক্রমণে আহত হন ৩০ জনেরও বেশি সাধারণ মানুষ।
হিংসা চলাকালীন নাগপুরের ভালাদারপুরা এলাকায় মুসলমান জনতা এক মহিলা পুলিশ অফিসারের শ্লীলতাহানি করে এবং তাঁর পোশাক খুলে
নেওয়ার চেষ্টা করে। এই ঘটনায় গণেশপেঠ থানায় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। নাগপুর হিংসার ঘটনায় পুলিশ এখনও
পর্যন্ত ৮৪ জনকে গ্রেপ্তার করেছে; যাদের মধ্যে রয়েছে মাইনরিটি ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সভাপতি এবং নাগপুর দাঙ্গার মাস্টারমাইন্ড ফাহিম খান। ফাহিমের বিরুদ্ধে ৫০০-রও বেশি দাঙ্গাবাজকে জড়ো করে হিংসায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
মহারাষ্ট্র পুলিশ বাংলাদেশের এমন কয়েকটি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট খুঁজে পেয়েছে যেগুলি নাগপুর হিংসায় প্রত্যক্ষভাবে উসকানি দিয়েছিল। আপত্তিকর এবং গুজব বা মিথ্যা রটনামূলক পোস্ট করা হয়েছে এমন ৯৭টি সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট শনাক্ত করেছে পুলিশ। এই পোস্টগুলির বেশিরভাগই বাংলাদেশি আইপি অ্যাড্রেস- সংবলিত কম্পিউটার বা ডিভাইস থেকে করা হয়েছিল। স্থানীয় হিন্দুরা জানিয়েছেন যে, তাদের বাড়ি আক্রমণ করার পর মুসলমান দাঙ্গাকারীরা বাড়িতে স্থাপিত তুলসীগাছের টবগুলি ছুঁড়ে ফেলে দিয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী একজন হিন্দু সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, জেহাদিরা অশ্লীল ভাষা ব্যবহার করে এবং নোংরা স্লোগান দিয়ে উত্তেজনার সৃষ্টি করে। মুখ ঢাকা মুসলমান দাঙ্গাকারীরা হিন্দু দেব-দেবীর ছবি বা মূর্তি ও স্বস্তিক চিহ্নের মতো হিন্দু প্রতীকগুলি যাচাই করে হিন্দুদের যানবাহনগুলি চিহ্নিত করে। গাড়ি ও বাইকগুলি যে হিন্দুদের সেই ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার পর মুসলমান দাঙ্গাকারীরা সেই গাড়িগুলিকে ভাঙচুর করে এবং আগুন ধরিয়ে দেয়। দাঙ্গাকারীরা মুসলমানদের বাড়ি বা মুসলমান মালিকানাধীন যানবাহনগুলিকে আক্রমণ করেনি। বেশ কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানিয়েছেন যে, জেহাদিরা পেট্রোল, বোমা নিয়ে প্রস্তুত ছিল। তারা শিশুদের উপর পাথর ছুঁড়ে মারছিল। নির্বিচারে আশেপাশের মানুষ এবং সম্পত্তির উপর তারা আক্রমণ চালাতে থাকে। জেহাদি দাঙ্গাবাজরা তরবারি, অস্ত্র ও বোতল সঙ্গে নিয়ে ঘুরছিল এবং তাদের মুখ ঢাকা ছিল।
নাগপুরে মুসলমানদের পরিকল্পনামাফিক হিন্দুবিরোধী হিংসার বিষয়ে পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম অপপ্রচার ও মিথ্যা সংবাদের জাল বুনেছে। হিন্দু সংগঠনগুলির তরফে ঔরঙ্গজেবের কবর অপসারণের দাবি উত্থাপন এবং ‘ছাওয়া’ সিনেমাটিকে জেহাদিদের দ্বারা সংঘটিত হিংসার সূত্রপাতের কারণ হিসেবে উপস্থাপিত করেছে বাম মনোভাবাপন্ন পশ্চিমি সংবাদমাধ্যম। মুসসলমান ও জেহাদিদের প্রতি সহানুভূতিশীল দেশি-বিদেশি সংবাদমাধ্যমগুলি নাগপুর হিংসাকে অসত্য দৃষ্টিকোণ থেকে চিত্রিত করেছে। হিন্দুরা ঔরঙ্গজেবের কবর উপড়ে ফেলতে চায় বলে মিথ্যা দাবি করেছে। হিন্দু নিপীড়নের প্রতীক ঔরঙ্গজেব যে আজকের দিনের জেহাদিদের প্রেরণার উৎস তা বেমালুম চেপে গিয়েছে এই ধরনের অসৎ সাংবাদিকতা-জাত, পক্ষপাতদুষ্ট প্রতিবেদন। বামপন্থী সংবাদমাধ্যম জেহাদি হিংসাকে স্বতঃস্ফূর্ত প্রতিবাদ রূপে চিত্রিত করেছে। হিংসায় আক্রান্ত হিন্দুদের শোচনীয় অবস্থা এবং সমাজে আধিপত্য বিস্তারের লক্ষ্যে মুসলমানদের পরিকল্পিত সন্ত্রাসকে তারা বিন্দুমাত্রও তুলে ধরেনি।
সমগ্র বাম-ইসলামিক ইকোসিস্টেম নির্লজ্জভাবে দাবি করেছে যে, হিন্দুদের উপর মুসলমানদের নিপীড়নের ঐতিহাসিক ঘটনা নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণ এবং হিন্দুদের শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের কারণেই হিন্দুদের বিরুদ্ধে মুসলমানদের এই হিংসা সংঘটিত হয়েছে। হিন্দুসমাজকে তারা বোঝাতে চেয়েছে যে, অতীতে ও বর্তমানে তাদের উপর সংঘটিত জেহাদি নিপীড়নের বিষয়ে হিন্দুরা যদি নীরব থাকত, তাহলে মুসলমানরা তাদের বিরুদ্ধে হিংসা চালাতে বাধ্য হতো না।
হিন্দুসমাজকে তারা বোঝাতে চেয়েছে যে, অতীতে ও বর্তমানে তাদের উপর সংঘটিত জেহাদি নিপীড়নের বিষয়ে হিন্দুরা যদি নীরব থাকত, তাহলে মুসলমানরা তাদের বিরুদ্ধে হিংসা চালাতে বাধ্য হতো না।