ডাকাত কালী এবং মা সারদা
নন্দলাল ভট্টাচার্য
প্রত্যুষে দিগন্তরেখা থেকে উঠে আসা সূর্যের আলোয় রাঙা ওঠে চারিদিক। প্রদেশে একইভাবে দিগন্তে ডুব দিতে দিতে সকলকে রাঙিয়ে দিয়ে যায় অস্তগামী সূর্য। এ এক নিত্যদিনের ঘটনা। এ ঘটনা পরম সত্য। বিস্ময়করও। আবার এ ঘটনা এতই স্বাভাবিক যে বহু সময়ই মানুষ চোখ মেলে দেখে না পুব অথবা পশ্চিমাকাশের এই রংবদল। না দেখলেও পৃথিবীর আবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সূর্যের এই ওঠা বা অস্ত যাওয়ার সামগ্রিক মুহূর্তগুলিকে পরিমাপের জন্য সন-তারিখ-বছর ইত্যাদি অভিধায় বন্দি করে রেখেছে মানুষ। প্রকৃতির প্রতিদিনের এই রংবদল হঠাৎই বড়ো স্মরণীয়-বর্ণময়-গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। হয়ে যায় ইতিহাসের এক অবিস্মরণীয় উপাদান। এমনই এক স্মরণীয় ও গুরুত্বপূর্ণ দিন ১২৮০ বঙ্গাব্দের ১৩ জ্যৈষ্ঠ। কেবল বঙ্গদেশ বা ভারত নয়, সমগ্র বিশ্বের আধ্যাত্মিক জগতের এ এক অনন্য ঘটনা। জ্যৈষ্ঠের ওই অমাবস্যার রাতেই ছিল ফলহারিণী কালিকা পূজা। আর সেই পূজার রাতে শ্রীরামকৃষ্ণ ষোড়শী রূপে পূজা করেছিলেন তাঁরই সহধর্মিণী সারদাদেবীকে। সারদাদেবীর বয়স তখন আঠেরো।
জ্যৈষ্ঠের সেই অমানিশায় সহধর্মিণী সারদামণিকে দেবীর আসনে বসান শ্রীরামকৃষ্ণ। তারপর তাঁর দেহে কালীর অবস্থানের জন্য আহ্বান জানান দশমহাবিদ্যার তৃতীয় বিদ্যা ষোড়শী বা ত্রিপুরাসুন্দরীকে। জলদগম্ভীর কণ্ঠে উচ্চারিত হয় আবাহন মন্ত্র: ‘অয়ি বালে, হে সর্বশক্তির অধিকারী মাতঃ ত্রিপুরাসুন্দরী, সিদ্ধিদ্বার উন্মুক্ত কর, ইহার (শ্রীশ্রীমার) শরীর-মনকে পবিত্র করিয়া ইহাতে আবির্ভূতা হইয়া সর্বকল্যাণসাধন কর!’
আবাহন শেষে যথাবিধি পূজা করে নিজের সমস্ত সাধনার ফল, জপের মালা প্রভৃতি শ্রীদেবীর পাদপদ্মে চিরকালের মতো বিসর্জন দিয়ে প্রণাম করতে করতে বলেন, ‘হে সর্বমঙ্গলের মঙ্গলস্বরূপে, হে সর্বকর্মনিষ্পন্নকারিণি, হে শরণদায়িনি, ত্রিনয়নি শিব-গেহিনি গৌরী, হে নারায়ণি, তোমাকে প্রণাম। তোমাকে প্রণাম করি।’
সাঙ্গ হলো পূজা। মানবী সারদামণির দেহ অবলম্বনে ঈশ্বরীয় উপাসনার শেষে সমাপ্ত হলো শ্রীরামকৃষ্ণের সমস্ত সাধনার সম্পূর্ণতা পেল তাঁর দেব-মানবত্ব পরিপূর্ণভাবে। একই সঙ্গে মানবী সারদাদেবীও প্রতিষ্ঠিত হলেন অধ্যাত্মজগতে দেবীর পুণ্য আসনে। মানবী হলেন দেবী।
এ কোনো আকস্মিক ঘটনা নয়। সবই ছিল পূর্বনির্দিষ্ট। অথবা মানবীর দেবীরূপে আত্মপ্রকাশের প্রত্যুষে দিগন্তরেখা থেকে উঠে আসা সূর্যের আলোয় রাঙা ওঠে ইঙ্গিত ছিল তাঁর আবির্ভাব লগ্ন থেকেই।
সারদা-জননী শ্যামাসুন্দরীর কণ্ঠ জড়িয়ে বালিকারূপে দেবী শ্যামা যেদিন বলেছিলেন, আমি তোমার মেয়ে হয়ে আসছি গো, সেদিনই তো বেজেছিল বোধনের পুণ্যগান। এরই পরে তো জন্ম সারদা দেবীর। বালিকা সারদা হন শ্রীরামকৃষ্ণ জায়া। কিন্তু প্রথম থেকেই তাঁর মধ্যে আরাধ্যা দেবী ভবতারিণীকে দেখেছিলেন শ্রীরামকৃষ্ণ। আর তাই বয়সে অনেকই ছোটো সারদাকে সমীহ করতেন তিনি। বলতেন, সারদা হলেন ভগবতী, কালী। শুধু বলতেন না, সাবধান করে দেন ভাগ্নে হৃদয়কেও। বলেন, সংযত ব্যবহার করবে ওর সঙ্গে। ও যদি রেগে যায় তাহলে সর্বনাশ হবে তোমার।
সারদা দেবী তখন রয়েছেন দক্ষিণেশ্বরে নহবত খানায়। নীরবে করে যান স্বামী সেবা কোনো প্রত্যাশা ছাড়াই। হঠাৎই কোনো খেয়ালে সেদিন স্বামীকে জিজ্ঞাসা করেন সারদা দেবী, ‘আমাকে তোমার কী মনে হয়?’ দিব্যজ্ঞানের বারিধারায় স্নাত শ্রীরামকৃষ্ণ সঙ্গে সঙ্গে বলেন, যে মা মন্দিরে আছেন, তিনিই এই শরীরের জন্ম দিয়েছেন ও সম্প্রতি নবহতে বাস করছেন এবং তিনি এখন আমার পদসেবা করছেন। সাক্ষাৎ আনন্দময়ীর রূপ বলে তোমাকে সর্বদা সত্য দেখতে পাই।’
ভগবতী তনু মা সারদা। ভক্তের জিজ্ঞাসার উত্তরে বলেন, লোকে বলে আমি ভগবতী, আমি ভগবতী, বলতে বলতে ভাবের সাগরে ডুব দেন মা। তিনি দেবী। একথা নিজেও স্বীকার করেছেন নানা সময়ে। সেবার যেমন এক ভক্তের জিজ্ঞাসা, ‘মা আপনি কি সাক্ষাৎ কালী’। চমকে ওঠেন মা, এটা ওটা বলে প্রসঙ্গ বদলাতে চান। ভক্ত কিন্তু নাছোড়বান্দা। বলেই চলেছে ‘বলুন না মা, সত্যি করে বলুন না।’ কথার পরে কথা। তবুও ওই একই প্রশ্ন। অবশেষে রহস্যের মোড়কে দিলেন ধরা। বলেন, ‘ওই লোকে বলে কালী’। বলেই দ্রুত পালটান সে প্রসঙ্গ।
তিনিই মা কালী। এমন অনুভব হয়েছে অনেকরই। সেবার যেমন, কামারপুকুর থেকে যাচ্ছেন জয়রামবাটি। সঙ্গে চলেছেন শ্রীরামকৃষ্ণের ভাইপো শিবরাম। বয়সে নেহাতই বালক। জয়রামবাটিতে ঢোকার মুখে হঠাৎই দাঁড়িয়ে পড়ে শিবরাম। পেছন ফিরে মা বলেন, কী রে দাঁড়িয়ে কেন, চল!
-যেতে পারি, যদি একটা কথা বলো। -কী কথা? -তুমি সত্যি-সত্যি কে? হেসে বলেন সারদা, কে আবার, তোর খুড়ি। শিবরাম বলে, তাহলে যাও, এই এসেই তো পড়েছো! শিবুর ছেলেমানুষির কাছে শেষে হার মানেন মা। বলেন, ‘লোকে বলে কালী’।
-কালী! মা কালী তো? ঠিক? -হ্যাঁ ঠিক। -তবে চলো। শান্ত শিবরাম জয়রামবাটিতে মায়ের বাড়িতে আসে মা সারদাকে নিয়ে।
মা সারদাই মা কালী, এই কথা জানার পর শান্ত হয় শিবরাম। মিটে ছিল তার মনের খিদে। ধাতস্থ হয় শিবরাম জীবনে।
একই রকমভাবে ধাতস্থ হয়, তেলোভেলোর মাঠের সেই বাগদি ডাকাতও। মা সারদা চলেছেন স্বামী সন্দর্শনে দক্ষিণেশ্বরে। জয়রামবাটি থেকে সে অনেকখানি পথ। মাঝখানে পড়ে কুখ্যাত তেলোভেলোর মাঠ। ডাকাতদের অবাধ রাজ্য। তাই দিন থাকতে থাকতেই সকলে পার হয় জায়গাটা। সারদাদেবী কিন্তু পারেন না। সঙ্গীদের থেকে পিছিয়ে পড়েন ক্রমেই। একসময় বলেন, তোমরা এগিয়ে যাও, অপেক্ষা করো তারকেশ্বরে। আমি আস্তে আস্তে যাচ্ছি। আমায় সঙ্গ দিতে
গেলে বিপদে পড়বে তোমরাও।
বাস্তবটা বুঝে সারদাকে রেখেই এগিয়ে যায় সঙ্গীরা। একলা সারদা চলেছেন। এমন সময় সন্ধ্যা নামে। অন্ধকার গাঢ় হয়। সারদা তখনও তেলোভেলোর মাঠেই।
এমন সময় অন্ধকারের মধ্য থেকে বাজখাই গলার আওয়াজ, কে যায়? ঘুরে তাকান সারদা। কিন্তু তাঁকে দেখে আঁতকে ওঠে দুর্দান্ত বাগদি ডাকাত। ভয়ে বয়ে যায় একটা শীতল প্রবাহ তার শরীরে। একে! এ কী দেখছে সে!
দু’ হাতে চোখ রগড়ায়। দেখে, দাঁড়িয়ে আছেন স্বয়ং মা কালী। থরথর করে কাঁপছে সেই ভয়ংকর ডাকাত। ওদিকে সারদা ঘুরে দাঁড়িয়ে বলেন, আমি বাবা, তোমার মেয়ে। চলেছি দক্ষিণেশ্বরে তোমাদের জামাইয়ের কাছে।
ততক্ষণে সেখানে হাজির বাগদি ডাকাতের বউও। তারও সেই একই অবস্থা। এ মেয়ে তো মেয়ে নয়, সাক্ষাৎ কালী। খসে পড়ে ডাকাতের হাতের লাঠি। বজ্র কণ্ঠে তখন কোমল বাঁশির সুর, কে মা তুমি?
-আমি সারদা। তোমাদের মেয়ে। সঙ্গীরা সব আগে চলে গেছে। আমি একা। বোধহয় পথ হারিয়েছি।
বাগদি ডাকাতের কানে সারদামণির এসব কথা ঠিকমতো পৌঁছয় না। সে তখনও সাক্ষাৎ মা কালীর দর্শনের অপার আনন্দে বারে বারে শিহরিত।
ডাকাত-গৃহিণী ততক্ষণে এগিয়ে আসে। দেবী দর্শন নয়। সারদার কথার জাদুতে তখন বিমোহিত। সারদাকে প্রায় আগলে ধরে ডাকাত-গিন্নি বলে, তোমার কোনো ভয় নেই মা। আমরা থাকতে কেউ তোমার কোনো ক্ষতি করতে পারবে না। তুমি চলো আমাদের সঙ্গে। আমরা পথ দেখাবো তোমাকে।
সারদাকে সঙ্গে নিয়ে গ্রামের দিকে চলে বাগদি ডাকাত-দম্পতি। একটা মুদির দোকান থেকে মুড়ি-মুড়কি কিনে খেতে দেয় তারা সারদামণিকে। তারপর সারা রাত জেগে পাহারা দেয় সারদাদেবীকে। সারদাও তাদের আশ্রয়ে নির্ভয়ে গভীর ঘুমে ডুবে যান। পরদিন সকালে ডাকাতদম্পতি পথ দেখিয়ে সারদাদেবীকে পৌঁছে দেন তারকেশ্বরে। সেখানে তারকনাথের পূজা দেয়। গিন্নির কথায় বাজার করে আনে সেই বাগদি ডাকাত। হয় রান্নাবান্না। খাওয়া দাওয়া। তারই মধ্যে
দেখা হয়ে যায় সারদামণির সঙ্গীদের সঙ্গে। তারকেশ্বর থেকে যাত্রা এবার দক্ষিণেশ্বরের পথে।
অপূর্ব সে বিদায় দৃশ্য। ডাকাত আর তার বউ দুজনের চোখেই জল। যেন মেয়েকে শ্বশুরবাড়ি পাঠানো হবে। বিদায়ের মুহূর্তে সারদার আঁচলে কিছু কড়াইশুটি বেঁধে দেয় ডাকাতবউ, পথে খাবার জন্য।
দক্ষিণেশ্বরে যাওয়ার পথে ওইভাবেই দেবী সারদার কালীরূপ দর্শন করে ধন্য হয় বাগদি ডাকাত দম্পতি। আবার একবার ওই পথেই স্বয়ং মা কালী বালিকাবেশে আসেন সারদামণির কাছে। সেবারও দক্ষিণেশ্বরে যাচ্ছিলেন সারদা তাঁর বাবার সঙ্গে। পথে ধুম জ্বর। বাধ্য হয়ে এক চটিতে আশ্রয় নেন বাবা আর মেয়ে। রাত গভীর। জ্বরে সারদাদেবী প্রায় অচৈতন্য। তারই মধ্যে দেখেন ঘরে যেন আলোর বান ডেকেছে। সেই আলোর সমুদ্র থেকে উঠে আসে এক কালো মেয়ে। আহা, কী তার রূপ। দেখে যেন আশ মেটে না।
চেতন-অচেতন একটা অবস্থার মধ্যে সারদা দেখেন, আলোর সাগর থেকে উঠে আসা সেই মেয়ে তাঁর পাশে বসে গায়ে-মাথায় হাত বুলিয়ে দিচ্ছে। তার সেই মমতাভরা ঠাণ্ডা হাতের ছোঁয়ায় শীতল হয় সারদার দেহ-মন প্রাণ। পরম আগ্রহে জানতে চান তিনি, তুমি কে গা! কোথা থেকে আসছো?
হেসে বলে সেই কালো মেয়ে, আমি আসছি দক্ষিণেশ্বর থেকে। দক্ষিণেশ্বর নাম শুনেই সারদা বলেন, আমিও তো সেখানেই যাচ্ছিলাম। তবে কপালে বোধহয় নেই তাঁর সঙ্গে দেখা হওয়া। তাঁর সেবা করা আর ভাগ্যে হবে না। -কেন হবে না? ভালো হয়ে তুমি সেখানে যাবে। তার জন্যই তো তাঁকে সেখানে আটকে রেখেছি। -আটকে রেখেছো। আমার জন্য। তুমি আমার কে হন গো। -আমি- আমি তোমার বোন। -ও সেইজন্য এসেছো। বেশ-বেশ।
ঘুমে ডুবে যান সারদা। পরদিন সকালে সম্পূর্ণ সুস্থ। বারার সঙ্গে আবার রওনা হলেন দক্ষিণেশ্বরে। পৌঁছলেন নিরাপদে। সেবার ভগবতী সারদা এভাবেই পেলেন মা কালীর কৃপা। তাঁরই স্পর্শে সম্পূর্ণ সুস্থ হলেন। শোনা কথা, আর একবার এই পথে দক্ষিণেশ্বরে যাওয়ার সময় ডাকাতের হাতে পড়েন মা সারদা। তারকেশ্বর অঞ্চলের দুই দুর্ধর্ষ ডাকাত নীলু আর ভুলু। সকলের ত্রাস তারা। তা সেবার তারা একলা পেয়ে মা সারদাকে অপহরণ করে বেঁধে রাখে তাদের
আস্তানায়।
নিজেদের কাজ সেরে ডেরায় ফিরে দেখে তারা, নেই- মা সারদা সেখানে নেই। তাঁর পরিবর্তে বাঁধা রয়েছেন স্বয়ং মা-কালী। দেখে তো নীলু-ভুলুর আক্কেল গুড়ুম। এ কাকে অপহরণ করেছে তারা! এযে স্বয়ং মা কালী। ভয়ে, ভক্তিতে দুই ডাকাত সঙ্গে সঙ্গে খুলে দেয় মায়ের বাঁধন। কেঁদে কেঁদে বারবার ক্ষমা চায় তারা। তারপর পৌঁছে দেয় তাঁকে দক্ষিণেশ্বরের পথে। নীলু-ভুলু ছিল তারকেশ্বর অঞ্চলের ডাকাত। তারা যে কীভাবে চেতলায় আস্তানা গেড়ে সেখানে কালী মন্দির প্রতিষ্ঠা করে তা ঠিক জানা যায় না। কিন্তু তাদের প্রতিষ্ঠিত চেতলার সেই কালীমন্দির আজও আছে। কলকাতার বুকে ডাকাত কালীর ওই মন্দির ঘিরে রয়েছে নানা অলৌকিক কাহিনি।
দুর্গাপুর ব্রিজ পার হয়ে ১৯নং চেতলাহাট রোডে রয়েছে নীলু-ভুলুর ওই ডাকাত কালীর মন্দির। মন্দিরে মা কালীর মূর্তির উচ্চতা প্রায় ৩৪ ফুট। অসুর মুণ্ডের ওপর মা কালী অবস্থান করছেন শিবসহ। বিরাট বিরাট লোহার শেকল দিয়ে দেবীর হাত-পা বাঁধা। এইভাবে দেবীর অবস্থান অবশ্যই বিস্ময়ের। শোনা যায়, মা কালী নাকি মন্দির থেকে বেরিয়ে ঘোরাফেরা করতেন। তাই তাঁকে স্থির রাখতেই ওই লোহার শিকলের বাঁধন। কেউ কেউ বলেন, মা সারদাকে অপহরণ করে
বেঁধে রেখেছিল এবং সেখানে মা সারদার বদলে মা কালীকে বাঁধা অবস্থায় দেখতে পাওয়ার কারণেই তারা এই ভাবে দেবীমূর্তিকে শিকল দিয়ে বেঁধে রাখে এবং সেই রীতিই এখনও চলে আসছে।
তারকেশ্বরের নীলু-ভুলু ডাকাত চেতলায় কেন কালীমন্দির প্রতিষ্ঠা করে তা ঠিক জানা যায় না। মা সারদাকে অপহরণের কথারও তেমন কোনো
প্রমাণই পাওয়া যায় না। তবুও লোকশ্রুতিতে এই মন্দিরের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে মা সারদা আর ডাকাত নীলু-ভুলুর নাম।
এসব কাহিনির সত্য-মিথ্যে যাচাই করা খুবই কঠিন। তবে মা সারদাকে যে স্বয়ং শ্রীরামকৃষ্ণ এবং তাঁর বহু ভক্ত মা কালী হিসেবে দর্শন করেন সে সব কথা
রয়েছে নানা লেখায়। আর তার থেকেই ভক্তমননে জননী সারদা বিশ্বজননী কালী হিসেবেই আজ পূজিতা মন্দিরে-মন্দিরে।

















