সন্ত্রাসীর ধর্ম আড়াল করতে ব্যস্ত ছদ্ম ধর্মনিরপেক্ষবাদীরা
ড. রাজলক্ষ্মী বসু
‘লুঠেরাদের মেরে ছিচে দিবি’- বীরধর্মের স্বয়ং এই বীরবাণী স্বামী বিবেকানন্দ বলেছিলেন বিপ্লবী হেমচন্দ্র ঘোষ’কে। সেকুলারি ভঙ্গিতে পাকিস্তানের বিরোধিতা সেকুলারের সংখ্যা কাতোটা বৃদ্ধি করে তা বলতে পারব না, কিন্তু নিশ্চিতভাবে তা লুঠেরার সংখ্যা বৃদ্ধি রপে, আজকের পরিচয়ে যারা সন্ত্রাসী তাদের সংখ্যাতত্ত্বে যোগ আনেই আনে।
গত ২২ এপ্রিল, দুপুরে কাশ্মীরের পহেলগাঁওয়ে পাকিস্তানের পোষ্য জঙ্গিদের নৃশংসভাবে বেছে বেছে হিন্দু পর্যটকদের ওপর নারকীয় ভঙ্গিতে গুলি চলল। কী নাম, ধর্ম কী- হিন্দু, শিখ? চালাও গুলি। হিন্দুদের সবচেয়ে বড়ো গৌরব- তারা সবাইকে মর্যাদা দিয়েছে এই দেশে। কত হিন্দু তাই সেকুলার, ভণ্ড সেকুলার, অতি সেকুলার এমনকী প্রো-ফিলিস্তিনি (পড়ুন পাকিস্তানি) হলো, যারা বিশ্বসত্যের সঙ্গে নিজেদের অজ্ঞানকৃত বিচ্ছেদ ঘটাচ্ছে। তারা আজকেও, এই নৃশংস হিন্দু হত্যার পরেও চারদিক যেন শিক্ষিত মূঢ়তায় ভরা। এ যে মানবজাতির অগৌরব। সারা বিশ্বে ধিক্কারের ঝড়। পাকিস্তান যে সন্ত্রাসের আঁতুড়ঘর এবং টার্গেট যে হিন্দুরাই তা আর কি বুঝতে বাকি থাকে। ভারত কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে কূটনৈতিক পদক্ষেপে, ব্যবসায়িক লেন-দেনে, সত্যিই যে এবার ছেদ আনার সময়, কারণ স্বামী বিবেকানন্দের ভাষায় এখন ‘ছিচে’ দিতে হবেই হবে। পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়া খুব স্বাভাবিক ভাবেই পাকিস্তানি চরিত্র মতোই হবে। পাক প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ কী সুন্দর বলল, এই ঘটনায় তাদের কিছুই করার নেই। জঙ্গি হামলার সঙ্গে পাকিস্তানের কোনো যোগ নেই।
পাকিস্তানের জাতীয় অর্থনৈতিক পশু গাধা। এই মন্তব্যে গাধারাও হাসছে নিশ্চয়। আবার খাজা আসিফই ক’দিন আগে বলল, ভারতের বিরুদ্ধে তিরিশ বছর ধরে সন্ত্রাসবাদীর কার্যকলাপ চালাচ্ছে পাকিস্তান। বলল কখন? যখন পাকিস্তানের রেঞ্জার্সরা পালাচ্ছে। সেনারা পদত্যাগ করছে, ঠিক তখনই এই স্বীকার খানিক আগ বাড়িয়ে সাধু সাজার প্রচেষ্টা। একটা দেশের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী যদি এই ভাষায় লেখে, দ্বিচারি কথা বলে, বাকি পাকিস্তানের প্রতিক্রিয়ার ধরন কেমন হবে তা সহজেই অনুমেয়। ভারত বিদ্বেষ যাদের বছরভর সবচেয়ে পছন্দের বিষয় তাদের ঘরের পেশাদার সন্ত্রাসী যখন ভারতের সীমান্তে ২৬ জন হিন্দুর প্রাণ নেয় তা তো তাদের কাছে তখন উল্লাস। ভারত
ভারতের কমিউনিস্টদের বিদ্যেটা বস্তাপচা সোভিয়েতের থেকে ধার করা। বুদ্ধিটা খাটে ইসলামিক ভোটে। বিচার ছোটে ফিলিস্তিনে। এটাকে ওরা বলে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ। আসলে এটা রাষ্ট্র বিরোধিতা।
বিরোধী প্ররোচনা তাদের সামাজিক মাধ্যমে, সংবাদে, প্রকাশ্য বার্তায়। ভারত বিদ্বেষের প্রচার এমন পর্যায়ে, যে, ভারতে নিষিদ্ধ ঘোষিত হলো ডন, সামা টিভি, এআরওয়াইয়ের মতো পাকিস্তানি ইউটিউব চ্যানেল। ইর্শাদ ভাট্টি, অসমা শিরাজি, উমর চিমা, মুনিব ফরুকের মতো পাক সাংবাদিকদের চ্যানেল নিষিদ্ধ ভারতে। নিষিদ্ধ ক্রিকেটার শোয়েব আখতারের চ্যানেলও। সেকু-মাকুরা যে সত্যিই জঙ্গিদের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ মদত দেয়, তা প্রমাণিত হলো বিবিসি-র সংবাদ বোধ বিচারে। তারা এটাকে ‘জঙ্গি হামলা’ না বলে ‘বিদ্রোহীদের হামলা’ বলে উল্লেখ করছে।
ভারত এখনো যা যা প্রতিক্রিয়া প্রদর্শন করছে, পদক্ষেপ নিচ্ছে সবটাই এক পুণ্যভূমির সভ্যতার নিরিখে। ভারতীয় বিদ্যা-বোধ-দীক্ষা- চেতনা সবসময় অসঙ্গত হতে বাধা দেয়। তাই ভারত এখনো পাকিস্তানের প্রতি ইজরায়েল সুলভ হয়নি। নির্বিচারে পাকিস্তানি নাগরিক নিধন ভারতের উদ্দেশ্য নয়, লক্ষ্য জঙ্গি নিকেশ। তাই জঙ্গি ফ্যাক্টরি পাকিস্তানকে বহুমুখী কূটনৈতিক প্যাঁচে শ্বাসরোধ করছে ভারত। ইজরায়েলের যুদ্ধবারুদে গাজা ভূখণ্ড নিকেশের মতো পাক অধিকৃত কাশ্মীর-চাইলেই জনশূন্য করতে পারে ভারত। কিন্তু ভারত নৈতিক বুদ্ধির মালিন্য প্রকাশ করবে না। বহু দেশে আক্রমণ হয়, ভারতীয় ভূস্বর্গও আক্রান্ত। এত রক্তের পরেও দেখছি ভারতের অনেক স্থলে ‘যক্ষপুরী’, যেখানে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে-কেন্দ্র অপদার্থ, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা অপদার্থ, মোদী সরকার বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে-পাকিস্তানের কথা যেন তর্জমা করছে মনে হবে।
সেকুলারদের প্রতিবাদগুলো দেখছিলাম, মনে হচ্ছিল প্রতিবাদ করতে গিয়ে তাদের মনটা ভেতরে ভেতরে গৃহহীনতার ভয়ে কাবু। মনে হচ্ছিল যেহেতু সারা বিশ্ব তীব্র তাদের তাই একটু নিন্দে না করলেই নয়। নিন্দে না করলে, নিন্দে না করার কালো দাগটা থেকে যাবে। তাই বুদ্ধি ধার করে নিন্দে। কৃপণের মতো নিন্দুক যাকে বলে। তারা চিৎকার করে বলছে না-পাকিস্তান মুর্দাবাদ। কিন্তু মোদী মুর্দাবাদ হাজারবার বলেছে। বলছে না হিন্দুদের সুরক্ষা কেন নেই? ভ্রমণে গিয়েও নেই? তারা এখনো বলছে সন্ত্রাসীর ধর্ম হয় না। কিন্তু হত্যা যখন ধর্ম জিজ্ঞেস করে হয়, তখনো তা কি ধর্মনিরপেক্ষ হত্যা? সেকুলাররা এখনো এই ন্যারেটিভটাই প্রমাণও প্রতিষ্ঠিত করতে চায়- বিদ্বেষ ছড়াচ্ছে হিন্দুত্ব। ‘হিন্দুত্বের জন্য অশান্ত দেশ। ধারা ৩৭০ রদ এবং কাশ্মীরকে কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল ঘোষণার পর থেকেই নাকি কাশ্মীর অশান্ত। ১৯৩০ থেকেই কমিউনিস্ট এজেন্টরা জাতীয় কংগ্রেসে ঢুকে জাতীয়তাবোধে ভাঙন আনে। সমর্থন দাবি করে মুসলিম লিগের। সমর্থন করে পাকিস্তান গঠনের।
পিসি জোশী থেকে জ্যোতি বসু গ্রেট ক্যালকাটা কিলিঙের মতো হিন্দু নরসংহারের জন্য একবারও দুঃখ বা যন্ত্রণা প্রকাশ করেনি। তাদের শাখা-প্রশাখা কুচো কাচা রাজনৈতিক বংশধরেরা তাই আজ কোনো নিয়ম যুক্তিতে ‘হিন্দুদের মারল’ ব্যানারে লিখে পথে নামে। সত্যিই তো এ তাদের রাজনৈতিক ঘরানা নয়। আমাদের আশা করাটাই বৃথা। এরা তো সেই কমিউনিস্ট যারা, ২০১৭-তে ভারতীয় সেনাবাহিনীর ওপর জঙ্গি প্ররোচিত কাশ্মীরীদের পাথর নিক্ষেপ করলেও বলেছিল- এরা অ্যান্টি ইন্ডিয়ান নয়। সেই পাথর ছোঁড়া যুবকদের স্বাভাবিক জীবনে আনতে সক্ষম হচ্ছিল উদীয়মান ভারত। বাড়ছিল পর্যটক। বিনিয়োগ। সড়ক যোগাযোগ উন্নতি হচ্ছিল রমরম করে। তখন কিন্তু ওই কমিউনিস্টগুলো একবারও বাহবা দেয়নি। তখনও তারা পথে নেমেছিল ফিলিস্তিনের ন্যায়ের জন্য। যেন আরও এক খিলাফত আন্দোলন করেই ছাড়বে ভারতে। ফারুক আহমেদ দার নামক এক পাথর নিক্ষেপকারী যুবককে যখন ভারতীয় সেনা জেনারেল গগৈ জিপে বেঁধে রাখলেন এবং কোনো শারীরিক আঘাত পর্যন্ত করেননি, তখন সিপিআইএম পলিটব্যুরোর আওয়াজ উঠল- আর্মিদের শাস্তি চাই। কমিউনিস্টদের ওই আওয়াজটাই জঙ্গিদের ক্রমবিকাশের পথ।
এই মুহূর্তে ভোট ভিখারি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস, জাতীয়তাবোধের অভাবে ধুঁকছে। এতটা নৃশংস ঘটনা, যখন সারা দেশের ঐক্যবদ্ধ থাকার কথা, সেই আবহে নরেন্দ্র মোদীর দিকে তির্যক বিদ্রূপ এঁকে সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করল মুণ্ডহীন মোদী আদলের এক দেহমূর্তি। ছবির ওপর লেখা’Gayab’। পাকিস্তান সেনার ডিফেন্স অ্যাটাইচ কর্নেল তৈমুর রাহত-তার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে ভারতীয়দের গলা কাটার ইশারা দিলেন। পাকিস্তান ও ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের মৌলিক আচরণে কী কাকতালীয় সাদৃশ্য! আসলে সাদৃশ্য অনেক। মিলটা ধরা পড়ল কাকতালীয় ভাবেই। সবাই এমনকী সচেতন মুসলমানরাও জানেন কংগ্রেস টিকে থাকে কেবলমাত্রই মুসলমান ভোটব্যাংকের জোরে। ভারতের দায়িত্বশীল মুসলমানরা অকৃত্রিম ভাবে পহেলগাঁও জঙ্গি হানার তীব্র নিন্দা করছেন। কংগ্রেসের জাতীয় কর্তব্যের ঢং দেখে মনে হচ্ছিল আইডিয়াটা যেন পাকিস্তান সেনার থেকেই আমদানিকৃত। সব আমদানি-রপ্তানি বন্ধ করবে ভারত সরকার। কিন্তু ভারতেরই একাংশ রাজনৈতিক মহল পাকিস্তান প্রেম, ফিলিস্তিন দরদ, আফজল গুরুদের প্রতি মানবাধিকারের জোয়ার আমদানি থামাবে না।
সেই আমদানি আছে বলেই ভারত বিদ্বেষের বাটখারা রাখতে হয় ভারতেরই মধ্যে। অসমের হিন্দু অধ্যাপক সেই আক্রমণকালে জঙ্গিদের সামনে জোরে জোরে কলমা পড়লেন। হিন্দু হয়েও ছদ্মবেশি মুসলমান পরিচয়ে যখন প্রাণে বেঁচে ফিরলেন- তখনোও সেকুলাররা বলল না-নিকেশ করার লক্ষ্য শুধু হিন্দুদেরই। তারা এখনো এই সন্ত্রাসী আক্রমণকে বিশ্বের অন্য সন্ত্রাসী হামলার সঙ্গে এক কক্ষে রাখছে। বলছে সন্ত্রাস দমন হোক। কিন্তু একটিবারও নির্দিষ্ট ভাবে বলছে না- হিন্দুদের ওপর মোল্লাবাদের আক্রমণ বন্ধ হোক। তারা বাংলাদেশে হিন্দু আর্তনাদে যে কারণে চুপ ঠিক সেই কারণেই পহেলগাঁও হিন্দু হত্যায় ধরি মাছ না ছুঁই পানি। মুর্শিদাবাদে যখন একই সময়ে নিজ ভূমিতে পরবাসী হিন্দুরা তখনো চুপ তারা। চুপ মমতা ব্যানার্জি। মোল্লাবাদী জেহাদের রসদ ভারতে জোগান দেয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের মোল্লাবাদীরা আবার পাকিস্তান প্রেমে টইটম্বুর। পাকিস্তানি বিদ্যায় ভরা। যে মমতা ব্যানার্জি নিজের রাজ্যের
মোথাবাড়ির হিন্দু নির্যাতনের বিরুদ্ধেই সোচ্চার হন না, তিনি পহেলগাঁওয়ে নিহত হিন্দুদের জন্য কাতর হবেন, সার্বিক হিন্দু সুরক্ষার জন্য জেহাদের বিরুদ্ধে কথা বললেন? হিসেব যে মেলে না। তাই মৃতদেহ ফিরে এলে মমতা ব্যানার্জি সেই পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করেন। তবুও জেহাদিদের বিরুদ্ধে সরব হন না। ১০০ দিনের টাকার হিসাব না দিয়েও ফেডারেল সিস্টেমের জোরে টাকা টাকা করে চিৎকার করা যায়। কিন্তু মুর্শিদাবাদের হিন্দুরা ঘর ছাড়া হলে তখনো তিনি জেহাদি তুষ্টীকরণের রাজনীতি করেন। তার মাথায় ঘোরে শুধু একটাই চিন্তা- কাশ্মীরের মানুষের ‘আজাদি’ কীভাবে আসবে?
পাকিস্তানি টক শো’ তে শোনা গেল উত্তর- ‘হিন্দুস্তান অনেক বড়ো দেশ। বহু মানুষ নিজের দেশের প্রতি সহানুভূতিশীল নয়।’ অরুন্ধতী রায়, মমতা ব্যানার্জি, কংগ্রেস পার্টি, কমিউনিস্ট পার্টি, অন্যান্য বামপন্থী দল, দলিত পার্টি, হিন্দুস্থানের সব লোক তো মোদীর সঙ্গে নেই পাকিস্তানির এই উত্তর আর যাইহোক, দিনকে দিন, রাতকে রাত বলল। অতএব, এতক্ষণ যা আলোচনা হলো- যারা মোদী বিরোধী তারাই পাকিস্তানের পছন্দের। কাশ্মীর আজাদি মাঙ্গে- স্লোগানের মাইক্রোফোন খরচ তারাই দেয়। যারা কাশ্মীরের আজাদির স্লোগান লেখে, যে মমতার শাসনে যাদবপুরের মতো ক্যাম্পাসে কাশ্মীরের আজাদির দাবি ওঠে কিন্তু পুলিশ তৃণমূল-ভুক্ত, তখন যদি কাশ্মীরের আজাদির ইস্যুতে মমতার ওপর পাকিস্তান টেলিভিশন চ্যানেল একটু আস্থা প্রদর্শন করে, তা কি এমন আহামরি বিষয়! আসলে পহেলগাঁও সন্ত্রাসের পর এই টকশো তাই তা হিসেবে এল। জোহাদের ওপর মমতার কত ভরসা তা নিশ্চিত হলো এই সময়ের সংঘাতে। ভারতীয় সংস্কৃতি নানা মুনির নানা মতকে প্রশ্রয় দেওয়া হয়। তা সাংবিধানিক জোর। কিন্তু প্রচ্ছন্ন পাকিস্তান দরদ- কোনো বিচারেই ব্যক্তিস্বাধীনতা, রাজনৈতিক স্বাধীনতা বলে পার পেতে পারে না। ভারতের কমিউনিস্টদের বিদ্যেটা বস্তাপচা সোভিয়েতের থেকে ধার করা। বুদ্ধিটা খাটে ইসলামিক ভোটে। বিচার ছোটে ফিলিস্তিনে। এটাকে ওরা বলে ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্যবাদ। আসলে এটা রাষ্ট্র বিরোধিতা। কংগ্রেস সমাধান চায় কেবলমাত্রই ‘এক্স হ্যান্ডেলে’। সন্ত্রাসের সামনে রাজনৈতিক বিভেদের পালে হাওয়া প্রদর্শন সন্ত্রাসের চেয়েও অনিষ্টকর।
যে যেই রাজনৈতিক প্রতীকে বিশ্বাস রাখি, জাতীয় সুরক্ষা স্বাতন্ত্র্যে যতক্ষণ ‘আমার তোমার’ তফাত থাকবে ততক্ষণ জঙ্গি তোষণ থাকবে। কমিউনিস্ট, বুদ্ধিজীবী বাঙ্গালিদের বিশেষ করে হিন্দু নিধনের বিষয়ে রাজনৈতিক অ্যাজেন্ডায় অনূঢ়া থাকলে, আগামীদিনে তারা প্রো-পাকিস্তানি হিসেবেই পরিচিত হবেন। সন্ত্রাসীর ধর্ম নেই? সেদিনও, ২০০০, ২০ মার্চ, এই অনন্তনাগ জেলারই চিত্তিসিংপুরা গ্রামে সন্ত্রাসীরা হামলা করল। ৩৬ জন শিখকে হত্যা করল। ঠিক তার একদিন পরেই তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট বিল ক্লিনটনের ভারত সফর ছিল।
২৬/১১ মুম্বই সন্ত্রাসী হামলার মূল পরিকল্পনাকারী তাহাবুর রানাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে ভারতে সফলভাবে প্রত্যার্পণ করা হলো দিল্লিতে জাতীয় তদন্ত সংস্থার ঘরে। ঠিক তার পরেই পহেলগাঁও সন্ত্রাস। সন্ত্রাসীর সত্যিই যে কোনো ধর্ম (নীতি) হয় না। এতটাই ধর্মহীন যে, সাধারণ নাগরিকের সামনে বন্দুক ধরে। কার্তুজ খোলে ধর্ম (রিলিজিয়ন) জানার পর। এর পরেও যদি সন্ত্রাসী, সন্ত্রাস, নিহত, সবকিছু ধর্মনিরপেক্ষতার সোশ্যাল সায়েন্সে ফাঁকি দেয় তাহলে পরের সন্ত্রাসীর নল আমাকেই তাক করবে। খাজনা দেব সেকুলার হয়ে আর ম্লেচ্ছ বলে দেশকে গালমন্দ করব! আজকে যা বিশ্বের অবস্থা তাতে এই আচরণ জঙ্গিদের দুর্লঙ্ঘ্য প্রাচীরের পাসওয়ার্ড দেওয়ার সমতুল্য।