দুর্গাপুরের গড়জঙ্গলে মেধস মুনির আশ্রম
নন্দলাল ভট্টাচার্য
তখন সত্যযুগ। রাজ্যভ্রষ্ট এক রাজা, নাম তাঁর সুরথ। একই সঙ্গে সম্পদ হারানো এক বণিক বৈশ্য সমাজ। দু’জনেই স্বজন স্বজাতিদের ছেড়ে অরণ্যচারী। প্রায় একই সময়। তবে তাঁরা বিচরণ করছিলেন বনের দুই ভিন্ন প্রান্তে।
এক সময় কিন্তু দুই প্রান্ত মিলন একই বিন্দুতে, মুখোমুখি দু’জন। শুরু কথাবার্তা। তারপর দুজনেই বুঝলেন, তাঁরা ভাগ্যাহত। নিয়তি তাঁদের বাধ্য করেছে অরণ্যবাসী হতে। সব হারানোর দুঃখে তখন দু’জনেই নিমজ্জিত। অথচ আশ্চর্য, তারও মধ্যে তাঁরা ভাবছেন তাঁদের সেই হারানো মানুষজনের কথা। ভালো আছে তো সকলে! কোনো বিপদ হয়নি তো তাদের? তাঁদের অভাবে সেই মানুষগুলি করে খাচ্ছে না তো কারও কাছে!
প্রশ্ন অনেক। কিন্তু উত্তর মেলে না। সে কারণেই বিভ্রান্ত তাঁরা। এবার যুগলে ধরলেন একই পথ। চলতে চলতে পৌঁছলেন এক তপোবনে। মহর্ষি মেধস
মুনির আশ্রমে। সেই পুণ্যভূমিতে পা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অমৃতমাখা এক ধরনের প্রশান্তি তাঁদের গতিতে আনল যতি। তাঁরা বিনম্র চিত্তে প্রণাম করেন ঋষি মেধসকে। জানান তাঁদের দুঃখের কথা। সেই সঙ্গে প্রশ্ন, কেন এমন হয়? কেন তাঁদের কথাই ভাবছেন অনুক্ষণ, যাঁরা প্রতারণা করেছেন, বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন, বঞ্চিত করেছেন তাঁদের ন্যায্য অধিকার থেকে। কেন ভাবছেন তাঁদেরই কথা?
স্মিত হাস্যে বলেন মহর্ষি মেধস, এ সবই মায়া। এসবই মহামায়ার লীলা। তাঁরই ইঙ্গিতে হয় সব- তিনিই আদি, তিনিই একমাত্র সত্য। তিনি যদি কৃপা করেন,
তাহলে শত অসম্ভবও হয় সম্ভব।
রাজা সুরথ ও বৈশ্য সমাধির প্রশ্নের উত্তরে মেধস মুনি তাঁদের বলেন, সেই মা- সেই দেবী- সেই আদ্যাশক্তির কথা।
তারপর তাঁরই স্মরণ নিতে বলেন তিনি। বলেন তাঁর অর্চনার প্রণালী।
মেধস মুনির নির্দেশ মতোই আশ্রম সন্নিহিত নদীতীরে দেবী প্রতিমা গড়ে শুদ্ধ মনে নিষ্ঠাভরে তাঁরা পূজা করেন চৈত্রমাসে শুক্লা ষষ্ঠী থেকে দশমী পর্যন্ত। তপস্বীর কঠোর জীবনযাপন করে পরপর তিন বছর তাঁরা পূজা করেন দেবীর। সেটাই পৃথিবীতে প্রথম দুর্গাপূজা। পুজাক্ষেত্র মেধস মুনির আশ্রম।
মার্কণ্ডেয় পুরাণ, দেবী ভাগবত, দেবী পুরাণ, কালিকা পুরাণ ইত্যাদিতে রয়েছে এসব কথা। আছে রামায়ণ, মহাভারত ইত্যাদি মহাকাব্যেও। বেদ ও বেদাঙ্গেও
উল্লেখ রয়েছে দেবী দুর্গার উল্লেখ। পরবর্তীকালে হরপ্পা সভ্যতার যেসব নিদর্শন উদ্ধার করা গেছে প্রত্নতাত্ত্বিক খননের পর, সেখানেও মিলেছে এমন সব নারীমূর্তি যা মহিষাসুরমর্দিনী বা দেবী মহামায়ার মূর্তি বলেই মনে করা হয়। তার থেকে সিদ্ধান্ত, যুগযুগান্ত ধরে চলে আসছে দেবী দুর্গার এই পুজা।
এসবই সেই নিত্যাদেবীর নিত্যদিনের কথা। কিন্তু একি কেবলই পুরাণ কথা? কোথাকার রাজা ছিলেন সুরথ? কোন জঙ্গলে তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছিল বৈশ্য
সমাধির? কোথায়-বা ছিল মেধস মুনির আশ্রম আর কোথায় হয়েছিল পৃথিবীর প্রথম দুর্গাপূজা?
এর উত্তর পাওয়া যায় লোকশ্রুতিতে। জন বিশ্বাসে। লোককথা, পূর্ব বর্ধমানের দুর্গাপুরের অদূরে কাঁকসা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের গড় জঙ্গলেই ছিল সত্যযুগের সেই মেধস মুনির আশ্রম। এখানেই চৈত্রের শুক্লপক্ষে দেবী দুর্গার পূজা করেন রাজা সুরথ ও বৈশ্য সমাধি। সেই পূজা এখন বাসন্তী পূজা নামে খ্যাত।
এই পূজা করে রাজা সুরথ ফিরে পান তাঁর রাজ্য। তারপর মেধসের এই আশ্রম অঞ্চল বা গড় জঙ্গলে প্রতিষ্ঠা করেন মহাকালী, মহাসরস্বতী ও মহালক্ষ্মীর তিনটি মন্দির। পরে এখানেই প্রতিষ্ঠিত হয় মহাকাল ভৈরবের মন্দির। শোনা যায়, এইখানে ছিল ষোলোটি মন্দির। তবে এখন রয়েছে মাত্র দুটি মন্দির- শ্যামরূপা কালী মন্দির এবং শিব মন্দির।
অন্য প্রসঙ্গে যাওয়ার আগে এই শ্যামরূপা মন্দির সম্পর্কে কিছু কথা বলা যেতেই পারে। এসব কথার কেন্দ্রে যাঁরা, তাঁরা ঐতিহাসিক পুরুষ। কিন্তু তথ্যগুলি
সবই যে ঐতিহাসিক সত্য, একথা জোর দিয়ে বলা যায় না। ওইসব তথ্যর বেশিরভাগই লোকশ্রুতিমূলক। বলা হয় বঙ্গদেশে মহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজির আক্রমণের মুখে লক্ষ্মণসেন রাজধানী ছেড়ে পালিয়ে যান। এ পর্যন্ত ঐতিহাসিক সত্য। কিন্তু কোথায় যান তিনি? এ সম্পর্কে রয়েছে নানা মত।
লোকবিশ্বাস ও জনকথন, লক্ষ্মণসেন পালিয়ে গড়জঙ্গলে আশ্রয় নেন। এখানে তিনি নাকি দুর্গাপূজাও করেন। ওইসময়ে গড়জঙ্গল এলাকায় ছিল শাক্ত
কাপালিকদের প্রবল প্রভাব। এই কাপালিকরা পূজায় নরবলিও দিতেন। এইরকমই এক কাপালিক শ্যামল কাপালিক। ইনি নাকি ছিলেন একজন সিদ্ধ তান্ত্রিক। লক্ষ্মণসেন বৈষ্ণব হলেও এই কাপালিকের ভক্ত হয়ে পড়েন। শ্যামল কাপালিক তাঁকে মায়ের একটি মন্দির তৈরি করে দেবার জন্য অনুরোধ জানান।
মনের দিক থেকে তেমন সায় না থাকলেও লক্ষ্মণসেন মন্দির তৈরির ব্যবস্থা করে দেন। অজয় নদের তীরে তৈরি মন্দিরটিতে প্রতিষ্ঠিত হয় কালীমূর্তি। শ্যামল কাপালিক দেবীর পূজায় নরবলি দেবার উদ্যোগ নেন।
লক্ষ্মণসেন এটা আর মেনে নিতে পারেন না। সভাকবি জয়দেবকে এর একটা প্রতিকার করার জন্য অনুরোধ জানান তিনি। অবশ্য এ ব্যাপারে অন্য এক
জনশ্রুতি, জয়দেব নিজের থেকেই এই নরবলি বন্ধ করার জন্য তৎপর হয়েছিলেন।
কাহিনি, জয়দেব মন্দিরে এসে শ্যামল কাপালিককে নরবলি বন্ধের জন্য নানাভাবে বোঝাতে থাকেন। কাপালিক কিন্তু কোনো কথাতেই কান দেন না। তিনি নিজের সিদ্ধান্তেই অটল থাকেন। সে অবস্থায় জয়দেব বলেন, কাপালিক যদি তাঁর সাধনার দ্বারা দেবী প্রতিমাকে জাগ্রত করতে পারেন এবং দেবী যদি নরবলি চান বলে জানান, তাহলে তাঁর কোনো আপত্তি থাকবে না।
কাপালিক পূজা শুরু করেন। পূজা এবং দীর্ঘ প্রার্থনাতেও দেবী জাগ্রত হলেন না। এরপর জয়দেব সুললিত পদে তাঁর আরাধ্যের স্তব করতে থাকেন। কিছুক্ষণ
পরেই শ্যাম রূপে আবিভূতা হন দেবী। সব দেখে কাপালিক বিস্মিত। ভীত ও প্রণত। নরবলি বন্ধ করেন তিনি। প্রতিমা শ্যামরূপে আবির্ভূত হওয়ার কারণে নাম হয় তার শ্যামরূপা। অন্য লোকমুখে এই শ্যামরূপা হয়ে যান শ্যামারূপা।
কিংবদন্তি, মেধস মুনির ওই আশ্রমে প্রথম দুর্গাপুজা করেন রাজা সুরথ। এই পূজার পর তিনি আবার রাজ্য ফিরে পান। আবার রাজধানী স্বপুর বা সপুরে বসবাস করতে থাকেন।
বোলপুর শহর থেকে তিন কিলোমিটার দক্ষিণে অজয়ের তীরে অবস্থিত সুপুর গ্রামটিই সেদিনের সপুর। কেউ কেউ বলেন, অতীতে এই গ্রামের নাম ছিল স্বপুর বা সুবাহুপুর। এক সময়ের লাড় দেশে (বর্তমান রাঢ় বাংলা) রাজা সুবাহু সিংহের নাম অনুযায়ী এই জনপদটির নাম হয় সুবাহুপুর। পরবর্তীকালে এই সুবাহুপুরেই আশ্রয় নেন রাজা সুরথ।
জনশ্রুতি, রাজ্য ফিরে পাবার পর রাজা সুরথ ভগবতীর আরাধনার জন্য সুপুরের লৌকিক দেবী শিবিক্ষার উদ্দেশে এক লক্ষ ছাগ বলি দেন। বলা হয়, কেবল এক জায়গায় নয়, তিনি সুপুরের বাঘলা পুকুরের পাশে গড়ে ওঠা শিবিক্ষার মন্দির থেকে শুরু করে রজতপুরের মহামায়া মন্দির হয়ে বোলপুরের ডাঙ্গালি কালীতলা পর্যন্ত বিস্তীর্ণ অঞ্চলে এই পশুবলি দেন। বলির রক্তে তখন একরকম বান ডেকেছিল। এই বলির পরই ডাঙ্গালি কালীতলা এবং তার
আশপাশের নাম হয় বলিপুর। কালক্রমে এই বলিপুরই হয় প্রসিদ্ধনামা বোলপুর।
বর্তমান বোলপুর-ইলামবাজার সড়কের পাশেই ছিল রাজা সুরথের নামে প্রতিষ্ঠিত সুরথেশ্বর শিবমন্দির। পুণ্যাথীদের ভিড়ে গমগম করত এই অঞ্চল। কিন্তু কালের নিয়মেই একসময় সব যেন হারিয়ে যায়। ঘন জঙ্গলে ঢাকা পড়ে এই শিবমন্দির। জনস্মৃতি থেকেই মুছে যায় সব। কিন্তু স্মৃতি তো হারায় না চিরতরে। আর সে কারণেই প্রায় শতবর্ষ আগে গজপতিনাগ নামে এক শৈব সাধু এসে মন্দিরটি খুঁজে বের করেন। খানিকটা সংস্কারও করেন তিনি মন্দিরের। এরপর রাইপুরের জমিদার বংশের প্রমথনাথ সিংহের স্মৃতিরক্ষায় তাঁর স্ত্রী সুভাষিণী দেবী সুরমেশ্বর মন্দিরটি নতুন করে তৈরি করে দেন ১৩৩৯ সালে।
রাজা সুরথের এই শিব মন্দিরের মতোই মেধস মুনির আশ্রমটিও এক সময় অশ্বত্থ পাকুড় গাছের তলায় চাপা পড়ে যায়। গভীর জঙ্গলে ভরে ওঠে নানা শ্বাপদ প্রাণীতে। ক্রমে এই আশ্রমের কথা ভুলেই যায় মানুষ।
সময় বয়ে যায়। সেটা বিংশ শতাব্দীর একাধারে শেষ দশকের কথা। বোলপুরে আশ্রম তৈরি করেন দশনামী সম্প্রদায়ের এক সাধু। নাম তাঁর যোগীরাজ ব্রহ্মানন্দ গিরি।
বাংলা ১৩৯৮ সাল। ইংরেজির ১৯৯১ খ্রিস্টাব্দে। ব্রহ্মানন্দজীর আশ্রম ক্রমে ভক্ত সমাগমে গমগম করতে থাকে। বীরভূম, বর্ধমান থেকে আসা ভক্তের ভিড়ে ভরে ওঠে আশ্রম। তারই মধ্যে একদিন ধ্যানমুহূর্তে ব্রহ্মানন্দজীর হৃদয়পাশে ভেসে ওঠে ঘন জঙ্গলের মধ্যে এক তপোভূমির ছবি- এক আশ্রম তাঁকে যেন অস্থির ভাবে ডাকছে।
ব্রহ্মানন্দজী ভক্তদের জানান তাঁর ধ্যানদৃশ্যের কথা। শুরু হয় ধ্যানে ভেসে ওঠা জঙ্গলে আশ্রমের সন্ধান। তারই মধ্যে একদিন ‘বীরভূমের ইতিহাস’ বই থেকে
জানতে পারেন গভীর জঙ্গলের মধ্যে এক নদীতীরে একসময় ছিল এক আশ্রম ও মন্দির।
সেই সূত্রধরে শুরু হয় অনুসন্ধান। ১৯৯৪ খ্রিস্টাব্দে আসেন গড়জঙ্গলে।অবশেষে এক টিলার উপরে অশ্বত্থ পাকুড় গাছের শিকড়ে মোড়া এক মন্দিরের
ধ্বংসাবশেষের সন্ধান পান তিনি। তিনি ১৯৯৬ খ্রিস্টাব্দে। খনন কাজ চলতে থাকে। পাওয়া যায় লক্ষ্মীজনার্দন মন্দির, চণ্ডী মন্দির এবং একটি শিবমন্দিরের সন্ধান। পুরাণ ও নানা শাস্ত্রগ্রন্থের বর্ণনার সঙ্গে মিলিয়ে তিনি সিদ্ধান্তে আসেন এটিই মার্কণ্ডেয় পুরাণে বর্ণিত মেধস মুনির সেই আশ্রম। এখানেই রাজা সুরথ এবং বৈশ্য সমাধি করেছিলেন পৃথিবীর প্রথম দুর্গাপূজা।
গড় জঙ্গলে আবিষ্কৃত মেধস মুনির ওই আশ্রমটি এখন গড় চণ্ডীধাম নামে পরিচিত। এটি এখন কেবল বীরভূম, বর্ধমান নয়, সারা পশ্চিমবঙ্গেরই একটি পবিত্র তীর্থভূমি হয়ে উঠেছে। বছরের প্রায় সারা সময়ই হয় ভক্ত ও পর্যটকদের সমাগম। দুর্গাপূজার সময় তো গড় চণ্ডীধামে নামে মানুষের ঢল। কয়েক হাজার মানুষ আসেন তখন আশ্রমের দেবী মূর্তি দর্শনে এবং মায়ের পায়ে অঞ্জলি দেওয়ার জন্য।
পূণ্যভূমি।
দাবিদার চট্টগ্রামও রাঢ় বঙ্গের গড় জঙ্গলের এই মেধস মুনির আশ্রমের মতোই বর্তমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বোয়ালখালি উপজেলার সীমান্তবর্তী করলডেঙ্গা
পাহাড়ের চূড়াতেও রয়েছে মেধস মুনির এক আশ্রম। ১৯০০ খ্রিস্টাব্দে স্বামী বেদানন্দ নামে সন্ন্যাসী যোগবলে এই আশ্রমের কথা জানতে পারেন। তাঁরই
উদ্যোগে উদ্ধার হয় এই লুপ্ততীর্থের আশ্রম এবং কয়েকটি মন্দিরের ভগ্নাবশেষ।
গৌরীতন্ত্রের কামাখ্যাতন্ত্রে আছে, কর্ণফুলি মহানদীর তীরের পর্বতে রয়েছে মার্কণ্ডেয় মুনি কথিত মেধস মুনির সেই পুণ্য আশ্রম। বেদানন্দ স্বামী এসব বচন উদ্ধৃত করে বলেন, এই আশ্রমে শাস্ত্রে বর্ণিত সব চিহ্নই আজও রয়েছে যথাযথ ভাবেই।
স্বামী বেদানন্দ যখন এই আশ্রমটি আবিষ্কার করেন, সে সময় বর্তমান সীতা মন্দিরটি ছিল ঘনজঙ্গলে ঢাকা। এই আশ্রম আবিষ্কারের কাহিনি চারিদিকে ছড়িয়ে
পড়ার পর বহু বিশেষজ্ঞ ও শাস্ত্রজ্ঞ ব্যক্তি এখানে এসে সব কিছু দেখে ও বিশ্লেষণ করে এটিই প্রাচীন মেধস মুনির আশ্রম বলে স্বীকৃতি দেন। এরপর থেকেই শুরু হয় এই স্থানটির উত্থান। মন্দিরের জন্য দানে পাওয়া লোকশ্রুতির সূত্রেই এই গড় জঙ্গলে মেধস মুনির আশ্রম আজ হয়ে উঠেছে বহুজনের প্রাণের অর্ঘ্য নিবেদনের এক মহা যায় ৬৮ একরেরও বেশি দেবোত্তর সম্পত্তি।
১৯২০ খ্রিস্টাব্দে কাশিমবাজারের মহারাজা মণীন্দ্র চন্দ্র নন্দী এখানে চণ্ডীমাতার মন্দিরটি তৈরি করে দেন। পরে তৈরি হয় বাংলাদেশের একমাত্র কামাখ্যা
মন্দিরটিও। সব মিলিয়ে করলডেহার এই মেধস আশ্রম হয়ে ওঠে বাংলাদেশের এক পুণ্যতীর্থ।
১৯৭১ খ্রিস্টাব্দে বাংলাদেশ মুক্তিযুদ্ধের সময় এই আশ্রম ও মন্দির বিধ্বস্ত হয়। বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার পর নতুন করে গড়ে ওঠে এই আশ্রম ও মন্দির। কিন্তু বর্তমানে অভিযোগ উঠেছে, বিধর্মীরা আশ্রমের ৫৫ একর জমি অবৈধভাবে দখল করে নিয়েছেন। এই খবরে বাংলাদেশের হিন্দুরা ক্ষুব্ধ ও ব্যথিত। চলছে হৃত সম্পত্তি উদ্ধারের চেষ্টা। আর সে সবের মধ্যেই মেধস মুনির এই আশ্রম হিন্দুর পবিত্র তীর্থ হিসেবেই রয়েছে বিরাজিত।