আত্মনির্ভর ভারত কি পশ্চিমি বিশ্ব তথা চীনের পক্ষে বিপদসংকেত?
পঙ্কজ জগন্নাথ জয়সওয়াল
আমেরিকার অর্থনীতি বিশেষজ্ঞ জেফরি স্যাক্সের মতে ওয়াশিংটনের বৈশ্বিক প্রভুত্ব সমাপ্ত হয়ে ভারত এখন বিকেন্দ্রিক বিশ্বে প্রবেশ করেছে। যাতে ভারত, রাশিয়া ও চীনের মতো দেশ নতুন বিশ্ব ব্যবস্থার গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ভ হতে পারে। এখন চীনকে তাদের আগ্রাসনবাদী নীতি পরিত্যাগ করতে হবে এবং স্থানীয় স্থিতিশীলতার জন্য সৃজনশীল পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজন অথবা ভারতকে নিজের হিত রক্ষার্থে আমেরিকা ও ইউরোপের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তুলতে হবে। ভারত রাশিয়ার সম্পর্ক ত্যাগ করবে না। বরং আমেরিকা ও ইউরোপই ভারতের উপর বেশি নির্ভরশীল। চীনকে আটকাতে তাদের ভারতকে খুবই প্রয়োজন। পশ্চিমি বিশ্ব ও চীন ভারতকে নিয়ে কেন চিন্তিত?
সন্ত্রাসবাদকে চীনের প্রকাশ্য সমর্থন এবং সন্ত্রাসবাদে জর্জরিত পাকিস্তানের মনে সম্প্রতি ভারতের দ্বারা সংঘটিত আকাশপথে প্রত্যাঘাতের বিষয়ে পশ্চিমি বিশ্বের প্রতিক্রিয়া পরিষ্কার যে, ভারতের বিকাশে নয়, বরং বিগত কিছু সময় ধরে প্রদর্শিত আত্মনির্ভরতা ও শক্তি দেখে তারা ভয় পাচ্ছে। যদিও সারা বিশ্ব ভারতের আধ্যাত্মিক শক্তিকে স্বীকার করে নিয়েছে এবং এছাড়া কোনো বিকল্পও নেই, তবুও পশ্চিমি বিশ্ব এই বিষয়ে চিন্তিত যে, ভারতের শক্তি স্বদেশীকরণের সঙ্গে সঙ্গে বাকি ক্ষেত্রগুলিতেও কীভাবে সংহত হয়ে উঠছে? পশ্চিমি বিশ্ব তো সেসব দেশ নিয়েই খুশি যারা সব কিছুর জন্য তাদের উপর নির্ভরশীল, যারা নিজেদের সংস্কৃতিকে ত্যাগ করছে এবং প্রাকৃতিক কাঁচামাল কম দামে তাদের কাছে বিক্রি করছে। পশ্চিমি বিশ্ব জানে যে ভারতের উত্থান কীভাবে বিশ্ব ব্যবস্থাকে পরিবর্তন করে ফেলতে পারে। ভারত যত উন্নত হবে পৃথিবীতে ততই শান্তি ও সহযোগিতা বাড়বে। সন্ত্রাসবাদ এবং অন্যান্য দেশের প্রাকৃতিক সম্পদও শোষণমুক্ত হবে। ভারত করোনা মহামারির সংকটজনক সময়ে বহু দেশকে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দিয়েছে, সংঘর্ষপূর্ণ স্থান থেকে বিভিন্ন দেশের নাগরিকদের উদ্ধার করে এনেছে এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সময় আর্থিক ও মানবিক সহযোগিতা করেছে, কোনো লাভ ছাড়াই নিঃস্বার্থ সহায়তার নীতি প্রদর্শন করেছে। এর মধ্যে তুরস্কের মতো দেশও রয়েছে যে কিনা সন্ত্রাসবাদের সমর্থক।
‘আত্মনির্ভর ভারত’ কেন জরুরি?
আত্মনির্ভরতার দিকে ভারতের যাত্রা এবং তার সমর্থনকারী নীতি আমাদের অর্থব্যবস্থার জন্য লাভজনক বলে প্রমাণিত হয়েছে। আমাদের অর্থব্যবস্থা বিশ্বের অপ্রত্যাশিত ঘটনার আকস্মিকতাকে সহ্য করার জন্য আরও ভালোভাবে তৈরি হচ্ছে। ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ অভিযানের উদ্দেশ্য ভারতের শিল্প উৎপাদন ক্ষেত্রে উন্নতির জন্য উৎসাহ প্রদান করা এবং তার সঙ্গে ভারতের বিশ্ব সংস্থার দ্বারা উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তোলা। যদি কোনো বিদেশি কোম্পানি ভারতে তাদের সামগ্রী নির্মাণ করে এবং তা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক স্তরে বিক্রির জন্য তার ব্যবহার করে তবে পুরো প্রক্রিয়াকে আমরা ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ বলতে পারি।
সব কিছুর নির্মাণ সম্ভব নয় এবং অন্য দেশ থেকে নিয়ে আসা কিছু কাঁচামালের উপর অবশ্যই নির্ভর করতে হবে, কিন্তু প্রযুক্তিগত বিকাশের মাধ্যমে যা কিছু নির্মাণ সম্ভব তা দেশেই নির্মাণ করা উচিত। আর যদি তা ভারতে উৎপাদন করা সম্ভব না হয় তবে এটা নিশ্চিত করতে হবে যে সেসব সামগ্রী শত্রু দেশ থেকে না কিনে মিত্রদেশ থেকে কিনতে হবে। আমাদের চীন, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, তুরস্ক, মালেশিয়া, আজরবাইজানের জিনিস থেকে আমাদের দূরে থাকা উচিত। আসুন, আমরা সেই সব দেশকে সহযোগিতা করি যারা ভালো ও খারাপ সময়ে আমাদের পাশে থেকেছে। কোনো শত্রুদেশ থেকে কোনো কিছু কেনা মানে মাওবাদ, সন্ত্রাসবাদকে সহযোগিতার পাশাপাশি আমাদের নিরাপত্তাবাহিনী তথা জনগণের উপর আক্রমণের আমন্ত্রণ জানানো। সেজন্য আমাদের শিল্প ও পরিষেবা ক্ষেত্রে দ্রুত ও সঠিক পদক্ষেপের সঙ্গে আমাদের শক্তিকে আরও উন্নত করতে হবে।
উদাহরণস্বরূপ, আমেরিকা আর্থিকভাবে বিশ্বশক্তি ছিল তাদের শিল্প উৎপাদনের কারণে। তা সত্ত্বেও বর্তমানে ১৯ ট্রিলিয়ন ডলার ঋণে জর্জরিত। এখন ডোনাল্ড ট্রাম্প আমেরিকায় আরও শিল্প স্থাপনের চেষ্টায় রয়েছেন। শিল্প উৎপাদনে বর্তমানে চীন বিশ্বের মধ্যে মহাশক্তি। উৎপাদনের নিরিখে তারা প্রায় ২৬ শতাংশ এবং রপ্তানিজাত উৎপাদিত পণ্যের ৩২ শতাংশ অধিকার করে রেখেছে। এটি বহু বছর ধরে চীন সরকার এবং তাদের শিল্পের জন্য ব্যয় ও প্রচেষ্টার ফল, যা চীনকে সেসব ব্যবসায়ের জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত স্থান হিসেবে গড়ে তুলেছে। তারা নিজেদের উৎপাদিত দ্রব্যের উপর নির্ভরশীল, যেমন অটোমেকার যারা চীনকে নিজেদের মাল প্রস্তুত করার জন্য উপযুক্ত মনে করে।
ভারত একটি পছন্দসই বিকল্প রূপে উঠে আসছে। চীন প্লাস ওয়ান মডেল ভারত বিদেশি বিনিয়োগকে আকর্ষণের জন্য বহুমুখী রণনীতি গ্রহণ করছে। যেমন সেমিকন্ডাক্টর শিল্প এবং গুরুত্বপূর্ণ খনিজ ব্লক উৎখননের মতো অগ্রণী ক্ষেত্রের জন্য নিলামের আয়োজন করা, শিল্পে উৎসাহ প্রদান এবং আর্থিক প্যাকেজ প্রদান করা। ভারতের শিল্প অর্থব্যবস্থার একটি প্রধান অঙ্গ, যা সমস্ত স্থানীয় উৎপাদনের প্রায় ১৭ শতাংশ এবং ২ কোটি ৭৩ লক্ষের বেশি মানুষকে জীবিকা প্রদান করে। যদিও বিশ্ব শিল্পের ক্ষেত্রে ভারতের বর্তমান অংশীদারী ২.৮ শতাংশ, এর বিকাশের মান ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী ও আশাব্যঞ্জক। সম্প্রতি বহু কোম্পানি বিভিন্ন কারণে চীন থেকে দূরে সরে এসেছে, যার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো শ্রমিক খাতে ব্যয় বৃদ্ধি। মাথাপিছু চীনা শ্রমিক বার্ষিক ১৭,০০০ আমেরিকান ডলার উপার্জন করে, যা কোম্পানির কাছে অত্যধিক। অপরদিকে একজন ভারতীয় বার্ষিক ৮,৫৫০ আমেরিকান ডলার উপার্জন করে, যা চীনা শ্রমিকদের গড় বেতনের প্রায় অর্ধেক। যদিও তা এশিয়ান দেশগুলির তুলনায় গড় বেতনের সামান্য বেশি। ভারত ৫৫০ মিলিয়নের বেশি শ্রমসম্পন্ন শক্তি হিসেবে সারা বিশ্বের মধ্যে চীনের পরেই অবস্থান করায় ক্ষতিপূরণ করে থাকে। তা সাম্প্রতিক বছরগুলিতে ভারতের উৎপাদন প্রক্রিয়াকে ভীষণভাবে বৃদ্ধি করেছে। দ্বিতীয় কারণ হলো পশ্চিমি দেশের কাছে চীনের বিরুদ্ধে ভারতই একমাত্র বিকল্প সহযোগী, যেখানে এর মধ্যে অধিকাংশ অটো ও অন্য কোম্পানি কোনো বিরোধীকে সাহায্য করার পরিবর্তে কারখানা স্থাপন করতে, সহযোগীকে উন্নত করতে এবং সমৃদ্ধ হতে সাহায্য করার ক্ষেত্রে বেশি সুবিধাজনক মনে করে। যদি
এই অবস্থা স্থায়ী হয়, তবে ২০২৫ পর্যন্ত ভারত শিল্প ক্ষেত্রে সারা বিশ্বে তৃতীয় সর্ববৃহৎ শিল্পকেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠতে পারবে। জাপানের আগে চলে যেতে পারে। সেই ক্ষেত্রে ২০২৮ পর্যন্ত ভারত আমেরিকার চেয়েও আগে চলে যেতে পারবে এবং ২০৩০ পর্যন্ত উৎপাদিত সামগ্রীর রপ্তানির ক্ষেত্রে দ্বিতীয় সবচেয়ে বড়ো দেশ হিসেবে উঠে আসবে। ভারত শিল্পবাজার এবং খেলায় চীনের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে পারে। আমাদের বর্তমানে শিল্প ও খেলায় চীনের পরিবর্তে জাপানের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করার ব্যাপারে ভাবা উচিত, কেননা ভারত এখনও একটি বিকাশশীল উৎপাদন শক্তি।
উৎপাদন ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কী কী বাধা রয়েছে এবং সেগুলির সমাধান কীভাবে সম্ভব?
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ রণনীতি চালু করতে সবচেয়ে বড়ো বাধাগুলির মধ্যে একটি হলো শক্তিশালী বুনিয়াদি পরিকাঠামো এবং রসদ কৌশলের আবশ্যকতা। কুশল উৎপাদন সঞ্চালনের ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত পরিবহণ ব্যবস্থা, নির্ভরযোগ্য বৈদ্যুতিক ব্যবস্থা এবং বিকশিত শিল্পোদ্যানের আবশ্যকতা রয়েছে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সরকার নতুন সড়ক, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরের সঙ্গে শিল্প করিডোর নির্মাণের মতো মুখ্য বুনিয়াদি পরিকাঠামো বিকাশ পরিযোজনা শুরু করে। এছাড়া লগ্নি টানতে এবং পরিকাঠামোর উন্নতির জন্য সব রকম ব্যবস্থা করতে জাতীয় লগ্নি ও পরিকাঠামো কোষ (এনআইআইএফ) কাজ শুরু করেছে।
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ রণনীতির ক্রিয়ান্বয়নে একটি বাধা হলো জটিল নীতি নির্ধারক প্রক্রিয়া এবং আমলাতন্ত্রের ঢিলেমি। এটি সংস্থাগুলিকে ভারতে শিল্প সুবিধা দিতে বাধা দিতে পারে। এই বিষয়টির সমাধানের জন্য সরকারি নীতিনির্ধারক প্রক্রিয়া সুব্যবস্থিত করতে, নথিপত্রগত কাজ কম করতে এবং অনুমোদন প্রক্রিয়াকে স্বয়ংক্রিয় করতে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। ‘ওয়ান উইন্ডো ক্লিয়ারেন্স’ প্রক্রিয়ায় কাজের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ও পারমিট পাওয়ার ব্যবস্থাকে সরল করে দিয়েছে। এছাড়া অনুকূল ব্যবসায়িক পরিমণ্ডলের কারণে নীতিনির্ধারক সংগঠনগুলির দক্ষতা এবং সমস্যা সমাধানে সংশোধন করার চেষ্টা করা হয়েছে।
‘মেক ইন ইন্ডিয়া’-র সাফল্যের জন্য সক্ষম কর্মীবাহিনীর উপস্থিতি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যদিও কোনো কোনো ক্ষেত্রে যোগ্য লোকেরঘাটতি রয়েছে। এই সমস্যার সমাধানের জন্য সরকার রোজগার ক্ষমতা বৃদ্ধিতে কৌশল বিকাশের কার্যক্রম শুরু করেছে। এর অন্তর্গত ব্যবসায়িক প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ এবং শিল্পভিত্তিক কৌশল বিকাশ রয়েছে। পাঠ্যক্রমকে শিল্পের আবশ্যকতার সঙ্গে যুক্ত করা এবং এটা সুনিশ্চিত করা, যে ডিগ্রিধারীরা রোজগারের জন্য প্রস্তুত আছে, উদ্যোগ ও শৈক্ষণিক সংস্থার মধ্যে তাদের সহযোগিতাকেও প্রাধান্য দিতে হবে।
একটি অন্য সমস্যা হলো শিল্পক্ষেত্রে গবেষণা ও বিকাশের প্রক্রিয়াকে গুরুত্ব প্রদান করার মানসিকতার অভাব। সৃজনশীলতা ও প্রযুক্তির বিকাশ ভারতীয় শিল্পের ক্ষেত্রে বৃদ্ধি ও প্রতিযোগিতার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার জন্য সরকার গবেষণা ও বিকাশের জন্য নানা ধরনের নীতি গ্রহণ করেছে, যার মধ্যে গবেষণা ও বিকাশ সম্পর্কিত লগ্নির ক্ষেত্রে ছাড়, প্রযুক্তিগত বিকাশকেন্দ্র প্রতিষ্ঠা এবং শিল্প-গবেষণায় সহযোগিতাকে গুরুত্ব প্রদানের মতো কাজ রয়েছে। এসব পদক্ষেপের উদ্দেশ্য এক অভিনব পরম্পরা নির্মাণ, প্রযুক্তিগত গতিকে ত্বরান্বিত করা এবং ভারতকে সৃজনধর্মী শিল্পে বিশ্বনেতা রূপে প্রতিষ্ঠা করা। এই সমস্যার মোকাবিলা করতে এবং প্রভাবী সমাধান চালু করতে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রচেষ্টায় ম্যানুফ্যাকচারিং বিকাশে গুরুত্ব দেওয়া এবং লগ্নি টানার চেষ্টা করতে হবে। যেমন যেমন ভারত শিল্পের উৎকৃষ্টতার পথে অগ্রসর হচ্ছে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ প্রকল্প দেশের শিল্প ভবিষ্যতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব পড়বে। এই পরিকল্পনার উদ্দেশ্য এক অভিনব এবং কুশল সংস্কৃতিকে উৎসাহ দিয়ে ভারতকে এক বিশ্ব শিল্পকেন্দ্র রূপে বিকাশ করা। নিয়মিত সংশোধন ও বিকাশের জন্য নিয়মিত দায়বদ্ধতার
সঙ্গে ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ আর্থিক প্রগতিকে প্রধান্য দেওয়া চলতে থাকবে এবং দেশের দীর্ঘকালীন সমৃদ্ধিকে সুনিশ্চিত করে স্থায়ী রোজগারের সুযোগ করে দেবে।
নিষ্কর্য
স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক প্রয়োজন পূর্ণ করার জন্য শিল্পসংস্থাগুলিকে, রাজ্যগুলিকে এবং নতুন জাতীয় শিক্ষানীতির হিতচিন্তকদের, তাদের প্রচেষ্টাগুলিকে কেন্দ্র সরকারের নীতি ও কাজের সঙ্গে যুক্ত করা উচিত। তাতে গবেষণাভিত্তিক, অভিনব, গুণগত, পরিণামগত এবং কুশল উৎপাদন ক্ষমতার সঙ্গে সঙ্গে সরবরাহ শৃঙ্খল এবং তার বুনিয়াদি পরিকাঠামোর দ্রুত বিকাশ করবে। ভারত যত দ্রুত এগিয়ে যাবে, বিশ্বের পক্ষে ততই তা মঙ্গলজনক হবে। জাতীয় শিক্ষা নীতিকে সমগ্র ভারতে গুণাত্মকভাবে ও দ্রুততার সঙ্গে চালু করা প্রয়োজন, যাতে গবেষণাপ্রেমী ও সৃজনশীল যুবক নির্মাণ হতে পারে, যারা শিল্পক্ষেত্রের জন্য বিশ্বব্যাপী শক্তিরূপে উঠে আসতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
(লেখক একজন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও প্রযুক্তিবিদ)