বিজাপুরের অত্যাচারী সুলতান আফজল খাঁকে ১৬৫৯ সালে ধরাশায়ী করেন মরাঠা অধিপতি ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ। বাঘনখের সাহায্যে জয় অর্জন করেছিলেন তিনি। এই “বাঘনখ” সংক্রান্ত কিংবদন্তির অভাব নেই। ৩৫০ বছর পর শিবাজীর সেই বিখ্যাত বাঘনখ এবার ভারতে ফিরছে। আগামী নভেম্বরে লন্ডন থেকে ভারতে ফিরছে বাঘনখ।
প্রসঙ্গত, চলতি বছরেই ছত্রপতি শিবাজী মহারাজের রাজ্যাভিষেকের ৩৫০ বছর পূর্ণ হচ্ছে। এই উপলক্ষ্যে লন্ডনের ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়াম থেকে ফিরিয়ে আনা হচ্ছে সেই বাঘনখ। রাজ্যাভিষেকের ৩৫০ বছর পূর্তি স্মরণ করে রাখতে আগামী তিন বছর বিশেষ প্রদর্শনী চলবে। সেখানেই প্রদর্শিত হবে এই বাঘনখ।
মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতি মন্ত্রী সুধীর মুঙ্গান্তিওয়ার আগামী মঙ্গলবার লন্ডনে পৌঁছবেন। সেখানে ভিক্টোরিয়া অ্যান্ড অ্যালবার্ট মিউজিয়ামের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হবেন তিনি। এরপরই ছত্রপতির বিখ্যাত হাতিয়ারটি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। এ ব্যাপারে মন্ত্রী জানান, ‘প্রথম দফায় আমরা বাঘনখটি ফিরিয়ে আনবো। নভেম্বরে এটি ভারতে আসবে। আমরা চেষ্টা করছি, শিবাজী মহারাজ যেদিন আফজল খাঁকে এই বাঘনখের সাহায্যে পরাজিত করেছিলেন, ঠিক সেইদিনই সেটি ভারতে ফিরিয়ে আনতে’। সূত্রের খবর, দক্ষিণ মুম্বইয়ের ছত্রপতি শিবাজী মহারাজ মিউজিয়ামে রাখা হবে এই বাঘনখ।
শিবাজী মহারাজের মরাঠা সাম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার অভিযানে ১৬৫৯ সালের প্রতাপগড়ের যুদ্ধ ছিল ইতিহাসের টার্নিং পয়েন্ট। সংখ্যায় অনেক কম হওয়া সত্ত্বেও শিবাজী মহারাজের বিচক্ষণতায় আফজল খাঁর নেতৃত্বাধীন আদিল শাহি সেনাদের পরাস্ত করে মরাঠা বাহিনী। এরপরই ভারতের ইতিহাসে শিবাজী একজন ক্ষুরধার বুদ্ধিসম্পন্ন সেনাপতি ও অসাধারণ যোদ্ধা হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন। শিবাজী মহারাজ প্রতাপগড় দুর্গে (বর্তমানে মহারাষ্ট্রের সাতারা জেলায়) আফজল খাঁকে খতম করেন। জনশ্রুতি, বাঘনখের ঘায়েই আফজল খাঁকে খতম করেছিলেন ছত্রপতি শিবাজী। মহারাষ্ট্রের সংস্কৃতি মন্ত্রী বলেন, ‘এই বাঘনখ প্রত্যেক ভারতীয়ের কাছে বীরত্ব, অনুপ্রেরণা ও সাহসের প্রতীক’।