‘ছাওয়া’ এক ঐতিহাসিক সত্যকে প্রতিষ্ঠা করেছে
ড. রাজলক্ষ্মী বসু
“গুরুদাসপুর গড়ে বন্দা যখন বন্দি হইল তুরাণি সোনার করে, সিংহের মতো শৃঙ্খলগত বাঁধি ল’য়ে গেল ধ’রে দিল্লি নগর পরে। বন্দা সমরে বন্দি হইল
গুরুদাসপুর গড়ে। সম্মুখে চলে মোগল সৈন্য উড়ায়ে পথের ধূলি, ছিন্ন শিখের মুণ্ড লইয়া বর্শাফলকে তুলি- শিখ সাত শত চলে পশ্চাতে বাজে শৃঙ্খলগুলি।
রাজপথ পরে লোক নাহি ধরে বাতায়ন যায় খুলি। শিখ গরজয় গুরুজীর জয় পরানের ভয় ভুলি। মোগল ও শিখে উড়াল আজিকে- দিল্লি-পথের ধূলি।”
এরপরেও শেখানো হয় দেখানো হয়, মুখস্ত করানো হয় মুঘল আমল ভারতের স্বর্ণযুগ। মুঘল আমলের দ্য গ্রেট কাকে বলা হয়? মুঘল আমলেই ভারত সর্বধর্মসমন্বয়ের পাঠ পড়ল! কী যশ, ভাগ্য মুঘল আমলের, ভাগ্যই বটে! কারণ ভারতের ইতিহাসের সিলেবাস রচয়িতা, মূলত ইসলাম প্রীতিধন্য, সেকুলার রোমিলা থাপার গোত্রীয় ঐতিহাসিকরাই ইতিহাসের ন্যারোটিভ গঠনের ‘পাওয়ার অব অ্যাটর্নি’ সুখের সঙ্গে উপভোগ করেছে। মুঘল আমলে ধরে নিলাম কিছুতো সৃষ্টি হয়েছে। জো হুজুর বলতে বলতে রোমিলা থাপারপন্থীরা ‘অশ্বত্থামা হত ইতি গজঃ, ইতিহাস বলেছেন। লিখেছেন। এটা আর বলেননি যত সৃষ্টি, তা তৈরি হয়েছে বিধ্বস্ত হিন্দু-শিখ-বৌদ্ধ বা কোনো না কোনো ভারতীয় ইমারতের ওপর। তারা তা গড়েছে ধ্বংসযজ্ঞের উল্লাসে! তাদের ভোগের জন্য যা যা শোভা পায় তাই তারা লুঠ করেছে। ইব্রাহিম লোদি থেকে ঔরঙ্গজেব- ধন সম্পদ, মন্দির, ধর্ম, বিগ্রহ, নারী, জমি, এমনকী ভারতের চিরন্তন নৈতিকতাকেও তারা লুণ্ঠন করেছে, যুদ্ধনীতিরও মানহানি ঘটিয়েছে।
তারা শুধু দখল ও লুঠতরাজ করেনি, গ্রাস করেছে জাতির মর্যাদা। ভারত আত্মাকে রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিকভাবে কলুষিত করেছে। স্যার যদুনাথ সরকার রচিত সেই সত্য ইতিহাস থেকে দিনের পর দিন মানুষকে- পাঠককে- ছাত্রকে দূরে রাখা হয়েছিল। এখন বিষম হেঁচকি উঠছে- ইতিহাসের পুনর্মূল্যায়নে যখন ‘ছবি’ তৈরি হচ্ছে। সিনেমা যে সবচেয়ে দ্রুত গণমাধ্যম, সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ সহজ গণমাধ্যম। কাশ্মীর ফাইলস্, কেরালা স্টোরিতে কী অসহ্য উত্তেজনা একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবীর এবং রাজনৈতিক মহলেরও। আরও বেশি উত্তেজনার, বলা ভালো, অস্বস্তির স্বেদ বইছে ‘ছাওয়া’ ছবি মুক্তির পর থেকেই। এ কেমন রাগিণী বাজল! ছত্রপতি শিবাজী, তাঁর দুর্দমনীয় তেজ, জেদ, মেরুদণ্ড, প্রতাপ প্রবাহিত ছিল পুত্র শম্ভাজীর চরিত্রের অণু পরমাণুতে। তাঁকে আদর করে শম্ভুজীও বলা হয়। তিনি ছিলেন অনমনীয়, অজেয়; অত্যাচারী ঔরঙ্গজেবের নিষ্ঠুর অত্যাচারেও। তাঁর বাহুবল, পরাক্রমী চরিত্র তাঁকে ইতিহাসে প্রকৃত ‘দ্য গ্রেট’ আখ্যা দিতেই পারত। কিন্তু এতদিন তিনি ছিলেন ওই এককোণে। আসল কথা শম্ভাজীর আদর্শ
রাষ্ট্রচেতনা এই ইকোসিস্টেমের মাথাব্যথা নয়। গেল গেল রব উঠছে- কারণ কেঁচো খুঁড়তে কেউটে। ঔরঙ্গজেব- যাকে সন্ন্যাসী রাজা মার্কা এক রূপে দেখানোর আপ্রাণ চেষ্টা করেছে কংগ্রেস বাম ও ইসলামপন্থী ঐতিহাসিক এবং রাজনৈতিক দলগুলি দশকের পর দশক ধরে। এই সত্যনিষ্ঠ ছবি তাদের ফেলেছে মহাবিপদে। ঔরঙ্গজেবের পর্দা ফাঁস হলো ছবিটি রূপালি পর্দায় ফুটতেই। এক ঘৃণ্যতার নাম ঔরঙ্গজেব। ঠিক যে কারণে শিবাজীকে হিন্দু হৃদয় সম্রাট
বলে মানতে অসুবিধা সেকুলারদের, আরও বেশি তাদের বাধছে শম্ভাজীকে হিরো বলতে। কারণ তাতে ঔরঙ্গজেবের পাশবিক রূপ প্রতিষ্ঠিত হবে। ঔরঙ্গজেবের কবরটিও দর্শনার্থীদের জন্য বন্ধ হোক, এমনই চাহিদা অগণিত রাষ্ট্রবোধসম্পন্ন মানুষের। তা হতে গেলে অবশ্যই আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়ার নির্দিষ্ট প্রশাসনিক স্তর অনুযায়ী অনুসৃত পদ্ধতিতেই হবে। ঔরঙ্গজেবের রূপ একটা ছবিতে প্রকাশিত হতেই দেশের বিভিন্ন পকেটে অশান্তি ও ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা শুরু।
দেখে নিই এক ঝলকে সেকুলারদের ন্যারেটিভের সন্ন্যাসীরাজা কতোটা হিন্দুবিদ্বেষী ও ভারত বিরোধী ছিল। ১৬৬৯ সালের ৯ এপ্রিল, ঔরঙ্গজেব আদেশ দিল- সব প্রদেশের যত মন্দির এবং সেই চত্বরে যত শিক্ষাঙ্গন রয়েছে তা ধ্বংস করার (যদুনাথ সরকার, রয়্যাল এশিয়াটিক সোসাইটি অব বেঙ্গল, ১৯৪৭, পৃ.
৮১)। ১৬০৬, ২০ নভেম্বর ফরমান জারি হলো- হোলি বন্ধ। বাদশার হুকুম (রাম শর্মা, দ্য রিলিজিয়াস পলিসি অব মুঘল ইম্পিরিয়ার্স, অক্সফোর্ড, ১৯৪০, পৃ. ১৪৯)। রাম শর্মার রেফারেন্সেই পাওয়া গেছে ২৩ জুন, ১৬৯৪ আজমীরের হিন্দু মন্দিরটি ধ্বংসের হুকুম আসে দরবার থেকে। ‘দরদি’ ঔরঙ্গজেব ১৬৪৫-এ গুজরাটে চিন্তামন মন্দির ধ্বংস করে মসজিদ নির্মাণ করল। বন্ধ হলো দ্বারকাতে হিন্দুদের পূজা। চিতোরের ৬৩টি হিন্দু মন্দির তিনিই ধ্বংস
করলেন। বুন্দেলখণ্ডের শিবমন্দির একই ভাবে ধ্বংস। গুজরাটের সোমনাথ মন্দিরে হামলা। শাসানি এসেছিল যদি কেউ মন্দিরে পূজা দেয়- মন্দিরের অস্তিত্বটাই থাকবে না (যদুনাথ সরকার, হিস্ট্রি অফ ঔরঙ্গজেব, ১৯২৮, পৃ. ২৮৯)।
১৬৬৫ সালের ২০ নভেম্বর, মিরাটে ফরমান জারি হয়েছিল, গুজরাটের কিছু কিছু অঞ্চলে স্থানীয়রা আবার মন্দির মেরামত করে যাতায়াত করছে। আদেশ এটাই বিগত সময়ের ধ্বংস হওয়ার পর পুনর্নির্মিত মন্দির এবং বর্তমানেরও যত মেরামত হওয়া মন্দির রয়েছে সব ধ্বংস করা হোক। ধ্বংস হলো সৌরাষ্ট্রের মন্দির (সূত্র : রাম শর্মা)। ভারতের প্রতিটি প্রান্তে ভারত আত্মাকে লুঠ করেছে। লুটপাট চলেছে গুজরাট থেকে কোচবিহার পর্যন্ত। ১৬৬১-র ১৯ ডিসেম্বর মীরজুমলা কোচবিহার আক্রমণ করল। বিচারের আসনে তখন বসল মহম্মদ শাদিক। নির্দেশ এল মন্দির ধ্বংস করে তার ওপর মসজিদ নির্মাণের (যদুনাথ সরকার, হিস্ট্রি অব ঔরঙ্গজেব পৃ. ২৮১)।
একে একে মুঘলসেনা বিধ্বস্ত করেছে কটক, মেদিনীপুর থেকে খাণ্ডালা। বাদ যায়নি পবিত্র মথুরাও। ১৬৭০ জানুয়ারিতে আদেশ দিল মথুরা মন্দির ধ্বংসের। মথুরার মণিমাণিক্যখচিত কৃষ্ণমূর্তি ইসলামি লুঠেরার দল নিয়ে গেল আগ্রায়। জাহনারা মসজিদের নীচে তা রইল (যদুনাথ সরকার)। ১ জানুয়ারি ১৭০৫ পান্ধারপুর, ১৬৬১-তে পালামৌ, সাতারা, ১৬৭০-এ উজ্জয়িনী, ১৬৮০-তে উদয়পুর, মেবার, সোমেশ্বর, ১৬৯৩-এ বাদনগর চলেছে ঔরঙ্গজেব নির্দেশিত মন্দির ধ্বংস, হত্যালীলা। চলেছে হিন্দুদের ওপর অস্থির উপদ্রব। আক্রমণ করতে ছাড়েনি কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরও। এঁটে ওঠেনি নাগা সন্ন্যাসীদের প্রতিরোধ। ধ্বংস করেছে বারাণসীর গোপীনাথ মন্দির।
ঔরঙ্গজেব অতি অবশ্যই ইতিহাসে স্থান পাক। পর্বের পর পর্ব বিস্তারিত তথ্য আলোচনা হোক তার ধ্বংসলীলার। নতুন ভারতের দায়িত্ব কেবলমাত্রই সড়ক নির্মাণ নয়, ইতিহাসের সড়কে যত মিথ্যাচার, হিন্দুর মাটিতে যত ধ্বংস-বর্বরতা-তাণ্ডবের অধ্যায় ঘটিয়েছে ইসলামিক আগ্রাসন, তার দলিল তৈরি এক গুরুদায়িত্ব। চলচ্চিত্র পালন করেছে সে দায়িত্ব- ‘ছাওয়া’ পালন করল সে দায়িত্ব। যারা চিলচিৎকার করছে তারা তবে প্রতিটি দৃশ্য ঘটনার বিরুদ্ধেই তাদের ‘আসল সেকুলার’ ইতিহাস যোগে আর একটা কাউন্টার ছবি বানাক। আছে তাদের সে ইতিহাস রেফারেন্স? নেই। নেই বলেই তাদের মিথ্যা ন্যারেটিভ তৈরির পাঠশালা বানাতে হয়। এখনও বলতে পারে স্যার যদুনাথ সরকার বড্ডো একপেশে!
সত্যিই তো- স্যার যদুনাথ সরকারের মতো বরেণ্য ইতিহাসবিদ মুঘলদের কিছুই ভালো দেখলেন না। তবে আরও কিছু তথ্যসূত্র দেওয়াই যাক। কেমন ছিল মুঘল? খুব সদ্য ২০০৬, ভারতের আনবায়াসড ইতিহাস পড়ে এবং অতি অবশ্যই ‘ছাওয়া’র মতো ছবি না দেখেই ঐতিহাসিক জনসন উল্লেখ করলেন, ‘Muslim invaders broke and burned everything beautiful they came across in Hindustan’ এবং যে মুঘল ধর্মীয় সহিষ্ণুতার গালগল্প দেয় কিছু বামপন্থী ন্যারেটিভ, তাকেও মান্যতা দিলেন না জনসন। হাইব্রিড নির্মাণ কী? ধর্মীয় সহিষ্ণুতা? হাস্যকর! আসলে বর্বর দস্যুদের চূড়ান্ত ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা ওগুলো-al- most every ‘hybrid’ expression that has come down to us surviving in the form of the conquest mosque is a religious declaration, through architectural continuity of Muslim superiority over Hindu heathenry.’
উল্লেখ করা হলো ‘mosques that are all built on the sites of dismantled temples and employ recut columns and other spolia taken from the destroyed monument’ (Wagoner and Rice, 2001, page-90)। একই সুরে একই ব্যাখ্যা ঐতিহাসিক তথ্য যোগে উল্লেখ করে, প্রশ্ন : কারা মুঘল? উত্তর: ‘the evils of idolatry and polytheism’ (Welch and Crane, 1983, page-124)। ‘ছাওয়া’ বা এই ধরনের যত ছবি, সিরিয়াল হবে ততবার তারা যে evil তা বারবার প্রতিষ্ঠিত হবে। আমাদের বারবার পড়ার হয় ওরা কত শৈল্পিক, কত সৃষ্টি করেছে, কত সমন্বয় সাধন করেছে। এবার বারবার পড়ার-দেখার-শোনার, দরকারে বিজ্ঞাপন দেওয়ার পালা- কেন ওরা evil তা দেখানোর।
ঐতিহাসিক মুনীলাল উল্লেখ করেছেন, ‘Aurangazeb entered Prince Azam with the campaign to subjugate Shambhji… En route, the prince carried out the Emperor’s instructions to ‘raze’ to the ground such strong- holds of infidelity (i.e, temples) as cross your way and to build in their place grandiose house of God (mosques) such as would do credit to our mission’
তাই শম্ভাজী যখন সেই বর্বরতার প্রতিবাদ-প্রতিরোধ করেন তখন ঔরঙ্গজেবের পশুত্ব কোন পর্যায়ে যেতে পারে তা বোধহয় সিনেমাটা না দেখেও অনুমান করা যায়। হিন্দু আর্তনাদের মাঝে শম্ভাজীর সিংহ গর্জন। তাঁর বীরত্বের পাশে মুঘল বর্বরতা, লাম্পট্যকে সত্যিই evil দেখাবে। রোমিলা থাপারদের ব্যাখ্যা শম্ভাজী বা কোনো হিন্দু শিখ বীরের জয়ধ্বনি করার বোকামি করেনি। এক জয়ধ্বনি মানেই মুঘল খলনায়কত্ব ধরা পড়ার প্রবল সম্ভাবনা। রোমিলা থাপার বাহিনী ২০২০-তে জওহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘ইনকিলাব’ নামক বই প্রকাশ করেন। ওরা জাতীয়তাবাদ, জাতীয়তাবোধের নানান সব ব্যাখ্যা রেখেছেন তাতে। কিন্তু সেই জাতীয়তাবোধের উল্লেখ নেই যেখানে ইসলামিক আগ্রাসনের বিরুদ্ধে সেই সব ভারতমায়ের বীররা গৈরিক ধ্বজা ধরেছিল। গালভরা দাঁতভাঙা কতরকম জাতীয়তাবোধের ব্যাখ্যা, কিন্তু রাষ্ট্রবোধে যে শিবাজী-শম্ভাজী-রাণা প্রতাপ-গুরুগোবিন্দ সিংহকে দরকার তারা কোথাও বলেননি। এই স্কুল অফ থট্-এর কাছে তাই ‘ছাওয়া’ একটা চ্যালেঞ্জ। এই ধরনের যে কোনো চলচ্চিত্রই বড্ডো তিক্ত চ্যালেঞ্জ। ওরা ব্যাখ্যার পর ব্যাখ্যা দেয় কিন্তু রেফারেন্স দিতে পারে না। ঔরঙ্গজেবের কবর কোন যুক্তিতে দর্শনীয়? খুব সাধারণ কিন্তু যুক্তিসঙ্গত প্রশ্ন নয় কি? আমাদের দুর্ভাগ্য এটাই যে, ঔরঙ্গজেবের কবর আজও একটি সংরক্ষিত স্থান। কিন্তু পূর্ব বর্ধমানের খণ্ডঘোষের উয়ারী গ্রামে বটুকেশ্বরের পৈতৃক বাড়িতে গা-ঢাকা দিয়ে থেকেছেন ভগত সিংহ। এই বাড়িতে ১৫ দিন ছিলেন তিনি। তা আজ পরিত্যক্ত, জরাজীর্ণ। ঔরঙ্গজেবের কবরটি দর্শনীয়! সেকুলার কমিউনিস্টদের কাছেই জিজ্ঞাস্য, ওদের ন্যাশনালিজম কি ঔরঙ্গজেবের কবরেই কবরস্থ?
ঔরঙ্গজেবের ইতিহাস নিষিদ্ধ নিষ্ঠুরতার। হিটলার ওর কাছে সত্যিই ছেলেমানুষ। সেকুলার ন্যারেটিভে তিনি ছিলেন Whitewashing Tyrant! এবার ক্ষান্ত হোক সে ন্যারেটিভ। ছাওয়া দেখে ইতিহাস শেখা যাবে? -সেকুলারদের বাঁধা প্রশ্ন। উত্তর হলো- শেখা যাবে না। সিনেমার কাজ ইতিহাস শেখানো কেন হবে! তার জন্য পত্র-পত্রিকা, পুস্তক, প্রবন্ধ, গবেষণাপত্র, চর্চাকেন্দ্র সব আছে। সেসব থেকে শিখে ইতিহাস উদ্ধার করে ‘ছাওয়া’ তৈরি। ছাওয়া-ভুল ইতিহাসটাকে লালকালিতে কাটল কেবল। সেকুলারদের পশমের টিয়া যে রচনানৈপুণ্য দেখাত তার আসল সত্য অগোচর ছিল। ‘ছাওয়া’ তা গোচরে আনল। তা অনেকের গায়ে লাগছে। লাগুক। জাতীয় কর্তব্য প্রতিষ্ঠাতে কোনো আপোশ হতে পারে না।