শ্রীল প্রভুপাদ ও গৌড়ীয় মিশন
শ্রীমদ্ ভক্তিসুন্দর সন্ন্যাসী গোস্বামী মহারাজ
শ্রীমন্মহাপ্রভুর আদেশ- ‘পৃথিবীতে আছে যত নগরাদি গ্রাম। সর্বত্র সঞ্চার হইবে মোর নাম।।’ ‘জগতে মায়িক নামই সর্বত্র চলছে, বৈকুণ্ঠনাম প্রচারিত হোক।
পাঞ্চরাত্রিক পদ্ধতি অনুসারে প্রতিনিধি থাকেন থাকুন, মন্দির করা হোক, ঠাকুর থাকুন কিন্তু letter class- higher class যাঁরা, তাঁদের প্রচারকার্য বৈকুণ্ঠনামের সর্বত্র প্রচারই মহাপ্রভুর মনোভীষ্ট- এই কথা ইংল্যান্ডে প্রচারক শিষ্যের উদ্দেশে বলেন শ্রীশ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদ।’
আজ সারা পৃথিবীতে গৈরিকবসন, শিখাসূত্রধারী যত বৈষ্ণব আছেন সকলের গুরু হলেন এই শ্রীশ্রীল ভক্তিসিদ্ধান্ত সরস্বতী গোস্বামী প্রভুপাদ। ১৮৭৪
খ্রিস্টাব্দের ৬ ফেব্রুয়ারি, শুক্রবার মাঘী কৃষ্ণপঞ্চমী তিথিতে বেলা ৩টার সময়, পুরীর ডিএম পরবর্তীতে শ্রীজগন্নাথ মন্দিরের কালেক্টর অফিসার শ্রী কেদারনাথ
দত্তের পুত্ররূপে মা ভগবতীদেবীর কোল আলো করে জন্ম নিলেন শ্রীল প্রভুপাদ। শ্রীমন্দিরের কাছেই ‘নারায়ণছাতা’ ছিল বাসগৃহ। ছ’মাস পরে রথযাত্রা করে
শ্রীজগন্নাথদেব গুণ্ডিচা মন্দিরের উদ্দেশে যাত্রা করলেন কিন্তু নিজের এই ছোট্ট ভক্তকে দর্শন করার উদ্দেশ্যে যমসদনে নচিকেতার মতোই তিনদিন অপেক্ষা করলেন দ্বারে। মা কোলে নিয়ে রথে উঠে ছেলেকে জগন্নাথের চরণপ্রান্তে শুইয়ে দিতে ছেলে দু’হাতে জগন্নাথকে ধরে আপনবোধে হাসতে লাগলো। আর জগন্নাথ তাঁর আশীর্বাদরূপে প্রসাদী মালা ছিঁড়ে ফেললেন শিশুর মাথায়। ঠিক তারপরই রথ চলতে লাগলো। এইভাবেই কৃষ্ণপ্রেষ্ঠ প্রভুপাদ পথ চলা শুরু করলেন।
শ্রীমন্মহাপ্রভু শ্রীচৈতন্যদেবের অপ্রকটের পর গোস্বামীবর্গ তাঁর প্রেম শুদ্ধভক্তির মতাদর্শ উত্তর-পূর্ব ভারতে বহুলপ্রভাবে প্রচার করলেও কালের গতিতে তা কিছুজনের মনোধর্মের মিশ্রণে বিকৃত হয়ে ১৩টি অপসম্প্রদায় সৃষ্টি করে। শ্রী কেদারনাথ দত্ত মহাশয় অবলুপ্ত প্রায় শ্রীচৈতন্যদেবের প্রচারিত ষড়গোস্বামী শুদ্ধভক্তি ধর্মের কিছু গ্রন্থের খোঁজ পেলেন ওড়িশার রাজপরিবারের গ্রন্থালয়ে। এগুলো পড়ে তিনি বুঝলেন সমাজের নীচু শ্রেণীর কিছু লোক যে নিতাই-গৌর প্রবর্তিত ধর্মের ধ্বজা উড়িয়েছে তা সপার্ষদ শ্রীচৈতন্যের প্রচারিত শুদ্ধভক্তির ধারা নয়। তিনি খুঁজে খুঁজে যেখানে যত শুদ্ধভক্তিধারার পালক বৈষ্ণব
রয়েছেন তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে লাগলেন এবং সমাজে শিক্ষিত জনসভায় এই শুদ্ধভক্তি মতের আলোচনা করে মহাপ্রভুর ভক্তিধারাকে পুনরায় আবাহনের চেষ্টা করে চললেন। গোস্বামী রচিত গ্রন্থ উদ্ধার, পুনর্মুদ্রণ, বাংলা ভাষায় অনুবাদ, কোথাও টীকা-টিপ্পনীর সংযোজন ইত্যাদির করে ছাপানোর জন্য নিজের বাড়িতে ছাপাখানা খুললেন, ইংরেজি ও বাংলা ভাষায় মাসিক পত্রিকা বের করতে লাগলেন। ঠিক এই পরিমণ্ডলে বড়ো হলেন অসামান্য শ্রুতিধর ও স্মৃতিশক্তিশালী শ্রীল প্রভুপাদ। কলকাতায় সংস্কৃত কলেজ পড়ে ১৮৯৮ খ্রিস্টাব্দে তিনি বাবার আদেশে শ্রীল গৌরকিশোর দাস বাবাজীর কাছে দীক্ষা নিয়ে
গৌড়ীয় ধারায় প্রবেশ করে তীর্থপর্যটন, শতকোটি মহামন্ত্র গ্রহণ ব্রত সমাপনান্তে শুরু করলেন গৌরলীলা স্থান, গৌরপার্যদের লীলাস্থান পর্যটন এবং সেখানে শুদ্ধভক্তির পুনঃপ্রচার।
১৯১১ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুরের বালিঘাইতে আয়োজিত স্মার্তব্রাহ্মণদের সভায় অশেষ শাস্ত্রপারদর্শী, বুদ্ধিদীপ্ত, বাগ্মী, তেজস্বী, বিনম্র তরুণের দর্শন এবং শাস্ত্রযুক্তিতে তুখোড় ভাষণে মুগ্ধ জনসমুদ্র তাঁর পা-ধোওয়া জল চাইতে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। বিভিন্ন ধর্মীয় সভা, তর্ক-বিতর্কে তার মতের প্রাধান্য স্থাপিত হতে লাগল। শিক্ষিত সমাজ তাঁর বক্তব্য শোনার জন্য তাঁর দর্শনপ্রার্থী হতে লাগল। বিভিন্ন রাজা-মহারাজা, রায়বাহাদুররা, বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপকরা তাঁর কথা শুনে মুগ্ধ হয়ে তাঁর ভূয়সী প্রশংসা যেমন করলেন, তেমনি কেউ কেউ তাঁর শিষ্যত্বও গ্রহণ করে ফেললেন, তা সে ত্রিপুরাধীশই হোন আর পণ্ডিত মদনমোহন মালব্যই হোন। শ্রীল প্রভুপাদ কলকাতার অ্যালবার্ট হলে যেমন শাস্ত্রসিন্ধু মন্থন করে বক্তব্য রাখেন তেমনি হিন্দু বিশ্ববিদ্যালয়ের বক্তব্য সকলকে গৌড়ীয় দর্শনের সিদ্ধান্তের অনুরণনে বিস্ময়ে হতবাক করে নিজ পদপ্রান্তে নত করিয়ে ফেলেন অনায়াসে। এরই মধ্যে নিরলস পরিশ্রমে ১৯১৩ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় ‘ভাগবত যন্ত্রালয়’ স্থাপন করে স্বরচিত ‘অনুভাষ্য’-সহ শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত, শ্রী বিশ্বনাথ চক্রবর্তীপাদের টীকা-সহ গীতা ও গ্রন্থরাজ শ্রীমদ্ভাগবতম্ (শ্রীল প্রভুপাদের স্বরচিত বিবৃতি-সহ) প্রভৃতি বহু গ্রন্থ ছাপানোর কাজ শুরু করেন। কটকেও ছাপাখানা স্থাপন করে উৎকল ভাষায় পরমার্থী, এছাড়াও দৈনিক নদীয়া প্রকাশ, পাক্ষিক গৌড়ীয় পত্রিকা ছাড়াও ৬টি ভাষায় মাসিক পত্রিকা প্রকাশ করেন যা বৈকুণ্ঠদূতের মতো জনসাধারণের কল্যাণ সাধনে উদ্যোগী হয়, তেমনি সমাজে শুদ্ধভক্তির ধর্মীয় চেতনা জাগিয়ে তোলে এবং বিরোধী মিথ্যা তার্কিকদের শাস্ত্রযুক্তি জিভ কাটে। বৈষ্ণব দর্শনের সূক্ষ্মতা বোঝাতে কলির তমো অর্থাৎ তর্ক-কলহ-বিনাশে দক্ষ প্রভু পাদ শুদ্ধভক্তির মন্দাকিনী- বিমলপ্রবাহে-ভবার্ণবে পতিত জীবকুলের তপ্তপ্রাণ শীতল করেন। তাঁর
এক গুণগ্রাহী বলেন-
হানি’ সুসিদ্ধান্ত উপধর্ম খান খান
সজ্জনের বাড়ালে উল্লাস ।।
স্মার্তমত জলধর শুদ্ধভক্তি রবিকর
আচ্ছাদিল ভাবিয়া অন্তরে।
শাস্ত্রসিন্ধু মন্থনেতে সুসিদ্ধান্ত ঝঞ্ঝাবাতে
উড়াইলা দিদিগন্তরে।
শ্রীল প্রভুপাদ শ্রীচৈতন্যদেবের আচারিত ও প্রচারিত বৈদিক শাস্ত্রসিন্ধুর মন্থনীভূত শুদ্ধভক্তিকে জগতের বুকে চিরজাগরুক রাখতে স্থাপন করলেন মঠ ও মিশন। এই মঠবাসীরা হলেন দৈববর্ণাশ্রম যাজী এবং শ্রীমহাপ্রভুর মুখনিঃসৃত শিক্ষাষ্টকের মূর্ত বিগ্রহ। তাঁদের আচরণ সর্বদা তাঁদের ঢাল হয়ে দাঁড়ালো। তাঁরা শ্রীল প্রভুপাদের শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে প্রচারক হলেন শুদ্ধভক্তির তলোয়ার নিয়ে। শ্রীমন্মহাপ্রভুর বাণীর পিয়ন হয়ে জগতবাসীর দ্বারে দ্বারে আজও তারা উপস্থিত। ভগবানের কীর্তন যেমন করতালের সঙ্গে মৃদঙ্গ ধ্বনিতে রসাল হয়ে উঠে, তেমনি গৌড়ীয় মঠের শুদ্ধভক্তিযাজী সেবকরা নিরন্তর অনলসভাবে মহাপ্রভুর বাণী কীর্তনে জীবন্ত-মৃদঙ্গ হয়ে বিশ্ববাসীকে কৃষ্ণকীর্তনের রসিক করে তুলেছেন। তারা প্রত্যেকে নিষ্কাম হয়ে নিরাগবক্তায় পরিণত হয়েছেন, ফলে জীব-মঙ্গলেও
সমর্থ হয়েছেন। সরাগবক্তা জনরঞ্জন করতে গিয়ে মঙ্গল সাধনে বিফল হন। শ্রীল প্রভুপাদবলেন, ‘বড়ো দরিদ্র জীব আমরা, দরিদ্র নারায়ণ নই। আমাদের এই দরিদ্রতা কমে যাওয়া দরকার। ধন সংগ্রহ করা প্রয়োজন। কৃষ্ণপ্রেমই সেই মহাধন। ‘প্রেমধন বিনা ব্যর্থ দরিদ্র জীবন। দাস করি বেতন মোরে দেহ প্রেমধন।’ -এটাই আমাদের প্রার্থনীয় বিষয়। কৃষ্ণপ্রীতি প্রয়োজন হলে কৃষ্ণেতর বস্তুতে অপ্রীতি স্বাভাবিক হয়ে পড়ে। নয়তো পঞ্চরাত্রের মূল উদ্দেশ্য ভ্রষ্ট হয়ে অন্য বিচার
প্রবল করে ফেলি, মস্ত বড়ো কর্মবীর হয়ে পড়তে চাই।’
শ্রীল প্রভুপাদ ইংল্যান্ড, জার্মানি, মায়ানমার প্রভৃতি দেশের প্ররিত প্রচারকদের উদ্দেশে বলেন, দাম্ভিক লোক কখনো প্রচারকার্য করতে পারে না। দাম্ভিক প্রচারকের সাজ নিয়ে ‘আমিই প্রচারক’- এই অভিমান করে, বাস্তব সত্য তার কাছে আত্মপ্রকাশ করে না, সুতরাং তার দ্বারা জগতের কোনো বাস্তব মঙ্গল বিহিত হতে পারে না। কেউ অমেধ্যভোজী হবে, কেউ স্বদেশ প্রীতির নামে স্ব-পর ভেদদর্শী হয়ে মাৎসর্যানলে দগ্ধীভূত হবে, কেউ-বা ভক্তির ভান করবে- এই
শ্রেণীর ব্যক্তি নিরস্তকুহক বাস্তব সত্যের কী সন্ধান রাখবে? এরা তো হাস্যরসের পাত্র। তথাকথিত তীর্থবাস, জাত গোঁসাইগিরি, ভাগবত পড়ে পেট চালানোর নামই লোক ‘ভক্তি’ বলে জানলো। কাকে বলে শুদ্ধ ভাগবতানুশীলন। বিদ্ধা বা মিশ্রাভক্তি, অবিদ্ধাভক্তি বা শুদ্ধভক্তির অনুসন্ধান লোক করুক, ভক্তিরসামৃতসিন্ধুর প্রচার করুন।’ এই জন্য প্রভুপাদ ভারতের প্রায় প্রতিটি রাজ্যের রাজধানীতে শাখা মঠ স্থাপন করলেন যা জগতে কেবল কৃষ্ণসম্বন্ধ বিজ্ঞান দানে জীবের মঙ্গল সাধন করবে। তিনি তাঁর ৬২ বছরের জীবনদশায় দেশে-বিদেশে ৬৪টি মঠ স্থাপন করেন। আর অধোক্ষজ তত্ত্বে নিপুণ তৈরি করেন প্রতিটি শিষ্যকে, যারা আজও সারা বিশ্বে দরিদ্র জীবকে কৃষ্ণপ্রেমধন দানে সুখী করে, ধনী করে চলেছেন। প্রভুপাদের শিষ্যবর্গ তাঁর অসীমগুণে গুণী হয়ে বিভিন্নভাবে, বিভিন্ন নামে তাঁর প্রারব্ধকাজের পতাকা বহন করে নিয়ে চলেছেন। কেউ গৌড়ীয় মঠ, কেউ চৈতন্য মঠ, কেউ গোপীনাথ গৌড়ীয় মঠ, তো
কেউ ইসকন্ ইত্যাদি নাম নিয়ে সেই ‘পরম বিজয়তে শ্রীকৃষ্ণ সংকীর্ত্তনম্’-এর ধ্বজা বহন করছেন বহু শাখা-প্রশাখায়।
শ্রীল প্রভুপাদের আবির্ভাবের (১৮৭৪-২০২৪) সার্ধশতবর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে তাঁরই প্রতিষ্ঠিত গৌড়ীয় মিশনের উদ্যোগে তিনবছর ব্যাপী ভারতবর্ষের বিভিন্ন প্রান্ত এবং
বিদেশে তথা লন্ডন, আমেরিকা, কানাডা, জার্মানি, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে বিপুলভাবে প্রচার, সেমিনার, প্রদর্শনী, ধর্মসভা, বিশ্ববৈষ্ণব সম্মেলন, উত্তর ও দক্ষিণ পরিক্রমা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যার শুভসূচনা হয়েছিল ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি শ্রী রামনাথ কোবিন্দের উপস্থিতিতে গত ২০ ফেব্রুয়ারি, ২০২২, শ্রীল প্রভুপাদের আবির্ভাবস্থলী শ্রীধাম পুরীতে। ভারত সরকার ও ইউনেস্কো শ্রীল প্রভুপাদের ১৫০তম জন্মবার্ষিকী বছর (২০২৪-২০২৫)-কে ‘সার্ধশততমবার্ষিকী আবির্ভাব স্মরণ বর্ষ’ হিসেবে ঘোষণা করেছে। এই উপলক্ষ্যে গত ৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪, ভারত মণ্ডপম্, নিউ দিল্লিতে ‘সার্ধশততমবার্ষিকী আবির্ভাব স্মরণ
বর্ষ’ উদ্যাপনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী শ্রীল প্রভুপাদের নামাঙ্কিত স্মারক মুদ্রা ও ডাকটিকিট উন্মোচন করেছেন। এই মহামহোৎসবের সমাপনী অনুষ্ঠান গত ২৮ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫ শুক্রবার কলকাতা মহানগরীস্থিত ‘সায়েন্স সিটি মেইন অডিটোরিয়াম’-এ ভারতবর্ষের মহামান্য
উপ-রাষ্ট্রপতি শ্রীজগদীপ ধনকর প্রধান অতিথিরূপে উপস্থিত ছিলেন। এই ধারাবাহিকতায় শ্রীল প্রভুপাদের ১৫১তম শুভ আবির্ভাব স্মৃতি মহোৎসব উপলক্ষ্যে গৌড়ীয় মিশন এবং ওড়িশার সমস্ত গৌড়ীয় মঠের আয়োজনে আগামী ১৩-১৪ আগস্ট, ২০২৫ রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের সরসঙ্ঘচালক ডাঃ মোহনরাও ভাগবতের গৌরবময় উপস্থিতিতে ওড়িশা প্রদেশের কটকে জওহরলাল নেহরু ইন্ডোর স্টেডিয়ামে দুদিন ব্যাপী ‘গৌড়ীয় বৈষ্ণব সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়াও
গৌড়ীয় মিশন উদ্যোগে শ্রীল প্রভুপাদের স্মরণে মিশনের বিশেষ বিশেষ স্থানে তাঁর নামে স্মৃতিসৌধ স্থাপনের ব্যবস্থা করেছে। যথা-
১। শ্রীল প্রভুপাদ মিনি কনভেনশনাল সেন্টার, স্বরূগঞ্জ, নদীয়া পশ্চিমবঙ্গ। ২। শ্রীল প্রভুপাদ সোশিও-কালচারাল রিসোর্স সেন্টার, বাগবাজার, কলাকতা, পশ্চিমবঙ্গ। ৩। শ্রীল প্রভুপাদ মেমোরিয়াল হল, কুরুক্ষেত্র, হরিয়ানা। ৪। শ্রীল প্রভুপাদ সিনিয়ার সিটিজেন স্প্রিচুয়াল থেরাপি সেন্টার, পুরী, ওড়িশা। ৫।
শ্রীল প্রভুপাদ পরাবিদ্যাপীঠ ও বৈদিক এডুকেশন সেন্টার, বালেশ্বর, ওড়িশা।